একসময় কবি বলেছিলেন, “মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে”। তবে এখন বোধহয় শুধু বিজ্ঞাপন নয়, কংক্রিটের জঙ্গলেও ঢেকে যাচ্ছে মুখ। ক্রমশ আকাশ স্পর্শ করছে শহর। গজিয়ে উঠছে লম্বা, ততধিক লম্বা ইমারত, অট্টালিকা। সেখানে স্থান নেই কোনও সবুজের। কিন্তু ইতালির বস্কো ভার্টিকেল এই সবের বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ, এখানে মানুষ, প্রযুক্তি আর গাছপালার একসঙ্গে সহাবস্থান।
ইতালির মিলান শহরের এই বিশাল অট্টালিকা বস্কো ভার্টিকেল। আপাতভাবে আশ্চর্য না লাগলেও, আবাসিক ভবনটিকে দেখলে আশ্চর্য হতে বাধ্য। কারণ, গোটা অট্টালিকাটি গাছগাছালিতে ঢাকা। সব মিলিয়ে মোট ১১ হাজার গাছ, ৯০০ বৃক্ষের সমাহার এই বস্কো ভার্টিকেলে! এমনি এমনি গজিয়ে ওঠেনি এগুলো, রীতিমতো পরিকল্পনা করে করা হয়েছে এই পুরো কাজটা।
এর পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ শহরে বসবাস করবেন। ফলে শহরাঞ্চলের পরিধি বাড়বে। যত বাড়বে, ততই বেড়ে যাবে পরিবেশ নিধনের ঘটনা। ইতিমধ্যেই পরিবেশ সমস্যায় জেরবার গোটা বিশ্ব। বস্কো ভার্টিকেলের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে নিজেদের বাড়ি বানাতে পারি, সেই ভাবনাটিকে দেখানো হয়েছে। যাতে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না হয়। গাছ লাগানো থাকলে, ঘরের ভেতরও বেশ আরামদায়ক থাকবে। ইতিমধ্যে চিন, মেক্সিকো, মিশরেও এইরকম কিছু প্রয়াস নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে আপনিও কি এইরকম একটি ঘরে থাকতে চান?