করোনা গোটা পৃথিবীকে প্রায় থামিয়ে রেখেছে। রোগের চোখরাঙানি তো আছেই, তার ওপর রয়েছে লকডাউন আর কোয়ারান্টাইনের বন্দিদশা। বাড়িতে থেকে প্রায়শই বিরক্ত হয়ে পড়ছি আমরা। এই প্রতিবেদনের যিনি ‘নায়ক’, তাঁর অবস্থাও একই ছিল। কিন্তু বেশিদিন সেই বোরিং জীবন থাকল না। ঘরের টুকটাক কাজ করতে গিয়ে হঠাৎই খোঁজ পেলেন এক মস্ত অ্যাডভেঞ্চারের। তাঁর বাড়ির দেওয়ালের পিছনেই যে রয়েছে পুরনো একটি গুহা!
করোনার প্রভাবে ইংল্যান্ডও ব্যতিব্যস্ত। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ায় সবাই চাপে। একই অবস্থা ডেভনের জ্যাক ব্রাউনের। ঘরের ভেতর এতদিন কাটাতে একটু তো অস্বস্তি লাগছে তাঁরও। লকডাউনের মধ্যেই একদিন ঘরেরই কোনো কাজ করছিলেন। হঠাৎ ঘরের একটি নির্দিষ্ট অংশের দেওয়াল তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করল। একটা অদ্ভুত প্যাচ তৈরি হয়েছে দেওয়ালে। একটু যেন অদ্ভুত ঠেকল ব্যাপারটা। কী আছে ওর পেছনে? ড্রিলিং মেশিন, হাতুড়ি নিয়ে কাজে নেমে পড়লেন জ্যাক। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টার পর ওপারে যাওয়ার একটা গর্তও খুঁজে নিলেন তিনি।
এরপরই শুরু আসল অ্যাডভেঞ্চারের। দেওয়ালের ওপারে গিয়ে জ্যাকের চক্ষু চড়কগাছ! এ কী দেখছেন তিনি? তাঁর বাড়ির নিচে এত বিস্তৃত একটা জায়গা আছে! অনেকটা গুহার মতো ব্যাপারটা। আরও বেশ কিছুটা এগোতে বেশ কিছু রঙের ক্যান এবং খবরের কাগজ পেলেন। সেখান থেকে জ্যাকের মনে হল, এই গুহাটি অন্তত ৫০ বছরের পুরনো। তারপর যত এগোতে থাকেন, ততই এই ’৫০ বছর’ সময়টাও বাড়তে থাকে। জায়গাটা যে যথেষ্ট পুরনো, তাতে সন্দেহ নেই।
ঠিক কী ছিল এই জায়গাটায়, জানা যায়নি। হয়ত জ্যাক ব্রাউন চেষ্টা করবেন জানতে। আপাতত এই বিস্ময়টা কাটুক তাঁর। হয়ত আমাদের চারিদিকেও এরকম কত অ্যাডভেঞ্চার লুকিয়ে আছে। শুধু খুঁজে নেওয়ার অপেক্ষা…