রাজপথ থেকে সামাজিক মাধ্যম, সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি ইংরেজি শব্দ ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসের মতোই। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’। হ্যাঁ, বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে জন্ম নেওয়া একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি। তবে সাংগঠনিক চেহারার বাইরে বেরিয়ে তার বৈচিত্র এবং বর্ণময়তা সত্যিই আশ্চর্যজনক। এবার এই আশ্চর্য প্রতিবাদ কর্মসূচিই পেতে পারে নোবেল শান্তি পুরস্কার। অন্তত প্রাথমিকভাবে সেই নমিনেশন গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই আন্দোলন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়লেও আমেরিকায় এই নামে আন্দোলন শুরু হয় ২০১৩ সালেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবিদ্বেষ এবং তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের ইতিহাস নতুন নয়। এই সমস্ত আন্দোলনকে এক ছাতার তলায় আনতেই তৈরি হয় একটি সাধারণ স্লোগান। তবে গত মে মাসেই এই স্লোগান হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর তার কারণ কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের উপর শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নির্মম অত্যাচার এবং শেষ পর্যন্ত ফ্লয়েডের মৃত্যু। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ যেন হঠাৎ ফেটে পড়ল। আমেরিকার অন্তত ২ কোটি মানুষ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। আর সেই স্রোত পৌঁছে গিয়েছে ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলিতেও।
‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সংহতিতে এগিয়ে এসেছেন বহু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সিনেমা, সঙ্গীত ও ক্রীড়া জগতের জনপ্রিয় তারকারাও। আসলে বর্ণবিদ্বেষ তো সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। সম্ভবত ইতিহাসে এত বড়ো সামাজিক আন্দোলন আগে কখনও হয়নি। আর এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতেই নোবেল কমিটির কাছে নমিনেশন পাঠানো হয়েছে। কে বলতে পারে, আগামী অক্টোবরে সুইডেনেই হয়তো মিলবে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি।
Powered by Froala Editor