স্টেপলারের পিন জুড়ে জুড়ে ২১৭০ ফুট লম্বা চেন, গিনেস বুকে বীরভূমের তরুণ

সামান্য একটি স্টেপলারের পিন, কাগজপত্র এঁটে রাখা ছাড়া আর কোনো কাজেই লাগে না। যদিও এই সামান্য কাজের জন্যই সেটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু এই পিন দিয়েই তৈরি করা যায় বিশ্বরেকর্ড? হ্যাঁ, ঠিক তেমনটাই করে দেখিয়েছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার মিনহাজুল মন্ডল। একের পর এক স্টেপলারের পিন গেঁথে সে তৈরি করেছে একটি চেন। আর সেই চেনের দৈর্ঘ্য নাকি ২১৭০ ফুটের বেশি। স্টেপলার পিন দিয়ে এত লম্বা চেন আগে কেউ কখনও বানায়নি।

হাত দিয়ে স্টেপলার পিন বেঁকিয়ে একটার পর একটা গেঁথে লম্বা চেন ছোটোবেলায় অনেকেই বানিয়েছেন। কিন্তু সে চেন বড়জোর দশটা কি কুড়িটা পিন গেঁথে। কিন্তু মিনহাজুল এই চেন তৈরি করেছে ৮ হাজারের বেশি পিন গেঁথে। রাণীগঞ্জ টিবিডি কলেজের ভূগোল অনার্সের ছাত্র মিনহাজুল পড়ার ফাঁকে রাত জেগে প্রায় ৯০ দিনের চেষ্টায় তৈরি করেছে এই চেন। একমাত্র উদ্দেশ্য গিনেস বুকে নাম তোলা। এরপর তাই স্থানীয় ব্লক ডেভেলাপমেন্ট অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। গতবছরই দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় বাকি কাজের ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রশাসনিকভাবে মিনহাজুলের চেনের দৈর্ঘ্য মাপজোক করে দেখে সমস্ত নথি ভিডিও সহযোগে পাঠানো হয় গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বোর্ডের কাছে।

সব দেখেশুনে এবার মিনহাজুলকে স্বীকৃতি দিল গিনেস বুক। সোমবার দুবরাজপুরের শালুঞ্চি গ্রামে মিনহাজুলের বাড়িতে এসে পৌঁছয় শংসাপত্র। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকেও সম্বর্ধনা দেওয়া হয় তাকে। তার বাবা ফজরুল হক জানিয়েছেন, ছোট থেকেই নানারকম মডেল তৈরিতে উৎসাহ ছিল মিনহাজুলের। তবে সবসময়ই সে অভিনব কিছু করতে চেয়েছে। অবশ্য স্টেপলারের পিন গেঁথে ২০১৮ সালেই গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন এই রাজ্যেরই এক যুবক। তবে নদিয়ার শান্তিপুরের অনুপম সরকারের সেই চেনের দৈর্ঘ্য ছিল ১৮১৯ ফুট ৭ ইঞ্চি। সেই রেকর্ড ভেঙে দিল মিনহাজুল। স্থানীয় ছাত্রের এই স্বীকৃতিতে খুশি প্রকাশ করেছে বীরভূম প্রশাসনও।

Powered by Froala Editor

More From Author See More