হাইওয়ে জুড়ে শুধু শূন্যতা থাকে না, থাকে অসংখ্য বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং বা বিলবোর্ডও। গাছ কেটে, রাস্তার দু ধার ফাঁকা করে এই বিলবোর্ডের মাঝখান দিয়ে সাঁই সাঁই করে গাড়ি ছুটে যায়। পরিবেশের খেয়াল রাখে ক’জন? পরিবেশ দূষণ, বিষাক্ত বাতাসে বেঁচে থাকা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে প্রাণীজগতের। তাই টেকনোলজিকে ব্যবহার করে বিলবোর্ডের সাহায্য বাতাস দূষণ মুক্ত রাখার নয়া পদ্ধতির সন্ধান দিলেন ড্যান রোসেগ্যারাদে।
বিলবোর্ডগুলিকে এমন ভাবে বানানো হয়েছে, যাতে সেগুলি পরিবেশে ধোঁয়াশাকে সরিয়ে শুদ্ধ বাতাসের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। ইতিমধ্যে এমন একটি বিলবোর্ড মেক্সিকোর মন্টেরারিতে লাগানো হয়েছে। অ্যাডের মধ্যেই লুকিয়ে থাকবে একধরনের রেসিন যা বাতাসে মিশ্রিত দূষককে আকর্ষণ করে অক্সিজেনের জোগান দেবে। ড্যান ও মন্টেরারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে এমনই বিলবোর্ড বানানো সম্ভব হয়েছে।
প্রত্যেক ছ’ঘণ্টায় তিরিশটি গাছের সমান বিশুদ্ধ বাতাস এই বিলবোর্ড থেকে উৎপন্ন হবে। একেকটি বিলবোর্ডের টিকে থাকার সম্ভাবনা প্রায় ৫ বছর পর্যন্ত।
ড্যানের কৃতিত্ব শুধু বিলবোর্ড বানানোই নই, ধোঁয়াশাবিহীন টাওয়ার বানিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। মেক্সিকোর মত শহরে যেখানে দূষণের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি, সেখানে এমন বিলবোর্ডের প্রয়োজন যথেষ্ট বলে মনে করছেন অনেকেই। আশা করা যায়, পরিবেশকে রক্ষা করতে মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি আরও অনেক এমন অভিনব উপায় বাতলে দেবেন ড্যান। ততদিন এই বিলবোর্ড লাগিয়েই পরিবেশকে সুস্থ করে তোলাদ চেষ্টা জারি থাকুক বিশ্বজুড়ে।