করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নানান শিল্পপতি। ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ভারতীয় প্রশাসনের পাশা দাঁড়িয়েছিল টাটা, ইউপ্রো, কগনিজেন্ট-সহ মাইক্রোসফট। করোনার নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কর্ণাটকে তিনটি আরটিপিসিআর যন্ত্র দান করেছিল মাইক্রোসফট। এবার আরও একবার ভারতে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থায় বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এল মাইক্রোসফট। ঘোষণা করলেন বিল গেটস স্বয়ং।
অক্সফোর্ডে তৈরি ভ্যাকসিনের গবেষণার সঙ্গেই জুড়ে আছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার নাম। যার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই। সেরামের ওপরেই দায়িত্ব ছিল ১০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতির। অন্যদিকে আরও এক মার্কিন সংস্থা নোভাভ্যাক্সও ভ্যাকসিন তৈরির বরাত দিয়েছে পুনের ফার্মা জায়েন্ট সেরামকেই। এই ভ্যাকসিনের লাইসেন্সও হাতে এসেছে সম্প্রতি। এই ভ্যাকসিন তৈরি এবং তাঁর বিপণনের পুরো প্রক্রিয়াই দেখবে সেরাম।
তবে এই ভ্যাকসিনের দাম যাতে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, তার জন্যই এবার এগিয়ে এলেন বিল গেটস। ভ্যাকসিন প্রস্তুতিতে তিনি ১৫ কোটি ডলার অনুদান করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। একমাত্র লক্ষ্য যেন মাত্র ৩ ডলারের মধ্যেই এই ভ্যাকসিন পৌঁছে যায় সাধারণ মানুষের কাছে। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যার দাম হবে মাত্র ২২৫ টাকা। যা করোনার টেস্টের খরচের থেকেও কয়েকগুণ কম।
গত মাসেই করোনার পরিস্থিতির বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য ভারতের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন বিল গেটস। দুশ্চিতা প্রকাশ করেছিলেন ভারতের জনঘনত্ব নিয়ে। কিন্তু তারপরেও ভাইরাসের মোকাবিলা যেভাবে চলেছে, যেভাবে চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে, তাতে মুগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেরাম সম্পর্কেও জানান, সারা পৃথিবীর জন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার ক্ষমতা রাখে এই সংস্থা। এখনও অবধি ৩৫ কোটি ডলার বিভিন্ন ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার গবেষণার পিছনে খরচ করেছেন বিশ্বের এই প্রথম সারির শিল্পপতি। মহামারীর বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে সত্যিই অনস্বীকার্য মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতার অবদান...
আরও পড়ুন
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনে সাফল্যের দাবি রাশিয়ার, টিকা নিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের কন্যা
Powered by Froala Editor