মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি হয়ে ইতিমধ্যেই ইতিহাস রচনা করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের নজর টানার কারণ শুধুই কি তিনি? যে পরিবর্তনের ঝড় নাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রদেশকে, তাতে একেবারেই ভোল পাল্টে গেছে মন্ত্রিসভার। দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বাইডেনের অফিসে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয়-বংশোদ্ভূতের উপস্থিতি। আর তার মধ্যে রয়েছেন এক বঙ্গতনয়াও।
সুমনা গুহ। আমেরিকার ন্যাশনাল সিকিওরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়ার বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টরের পদে তাঁকে নিযুক্ত করেছেন বাইডেন। বাইডেন-হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই তিনি দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক নীতির কার্যনির্বাহী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ওবামা-বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক দায়িত্ব ভার তুলে নিয়েছিলেন সুমনা। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক দেখভাল করতেন তিনি। ছিলেন স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর। তাছাড়াও ২০১২ সালের আগস্ট মাস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পলিসি প্ল্যানিং স্টাফ হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি।
২০১৮ সালে অ্যালব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপের সহ-সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে তিনি ভারত-মার্কিন বাণিজ্যিক কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর। এই প্রবাসী বঙ্গতনয়ার বাবা-মা দু’জনেই বাঙালি। কর্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তাঁরা। সেখানেই বেড়ে ওঠা সুমনার। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকতা এবং জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেছেন অর্থনীতি এবং মনস্তত্ত্ব নিয়ে। বৈদেশিক সম্পর্ক দেখাশোনার কারণে বাংলা, ইংরাজি ছাড়াও একাধিক দক্ষিণ এশিয় ভাষার সঙ্গে ফরাসি, রাশিয়ান ভাষাতেও কথা বলতে পারেন সুমনা গুহ।
সুমনা ছাড়াও জো বাইডেনের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন তরুণ ছাবড়া, শান্তি কালাঠিল, সোনিয়া আগারওয়াল, গরিমা ভারমা, মালা আদিগা, গৌতম রাঘবন, বণিতা গুপ্তা, উরজা জেয়া প্রমুখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্ব। উল্লেখ্য এই ২০ জন ইন্দো-আমেরিকানের তালিকায় ১৩ জনই মহিলা। এর থেকে প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট দেশের হাল ফেরাতে প্রথম থেকেই মহিলা ক্ষমতায়নের পথ বেছে নিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্যাবিনেটে কলকাতার অরুণ মজুমদার