ঋগ্বেদের অম্বিতমা, নদীতমা এবং দেবীতমা সরস্বতী যুগ-যুগান্তে ভারতীয় কবিকুলের আরাধ্যা। মধুসূদন প্রমুখ আধুনিক বাঙালি কবিমানসেও তাঁর লীলায়িত বিচরণ। 'সারদামঙ্গল'-কার বিহারীলাল ও তাঁর ভাবশিষ্য রবীন্দ্রনাথের 'বাল্মীকিপ্রতিভা' থেকে আরম্ভ করে আজীবন কাব্যসাধনায় বারেবারে প্রেরণাদাত্রীরূপে আবির্ভূতা হয়েছেন সরস্বতী। আর এই সরস্বতীই (Devi Saraswati) যখন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bibhutibhushan Bandyopadhyay) চেতনায় ফিরে আসেন, লেখা হয়ে যায় 'মেঘমল্লার'। প্রথমে 'প্রবাসী' পত্রিকায় প্রকাশ (ফাল্গুন, ১৩৩০ বঙ্গাব্দ), তারপর গ্রন্থবদ্ধ হয়ে পাঠকের দরবারে পৌঁছোয় সেই গল্প। প্রসঙ্গত, সেই গ্রন্থই বিভূতিভূষণের প্রথম প্রকাশিত ছোটোগল্প-সংকলন, এবং প্রথম গল্পের নাম অনুসরণে আস্ত বইটির নামই হচ্ছে 'মেঘমল্লার'।
নদীরূপা সরস্বতী ভারতসভ্যতার জীবন। সেই সুদূর অতীতের ঋগ্বৈদিক জনপদ গড়ে উঠেছিল উত্তর-পশ্চিম ভারতের এক সরস্বতী নদীর তটভূমিতে। প্রয়াগে গঙ্গা-যমুনার সাথে সম্মিলিতা হন আরেক সরস্বতী। আবার, আমাদের বঙ্গভূমিতেও একদা বয়ে যেতেন আর এক সরস্বতী নদী। এই বিচিত্র ও বিভিন্ন সরস্বতী নাম্নী নদীমালার সাধারণ বৈশিষ্ট্য এই যে, আধুনিক যুগের শুরুতেই এই সমস্ত নদীর প্রবাহ রুদ্ধ, জলধারা প্রায়-শুষ্ক, এমনকী কোথাও কোথাও অদৃশ্য। বিভূতিভূষণের কাহিনীর এই যে দেবী সরস্বতী, ইনিও তান্ত্রিক গুণাঢ্যের বশীকরণ-মন্ত্রে বন্দিনী, আবৃতমহিমা, "বিশ্বের আত্মবিস্মৃতা সৌন্দর্য্যলক্ষ্মী।"
'মেঘমল্লার' গল্পে দেখি, দেবী সরস্বতীর রূপ দেখে কামতপ্ত তান্ত্রিক গুণাঢ্য তাঁকে পেতে চেয়েছিল, দেবী বলেছিলেন, "তাঁকে পাওয়া নির্গুণের কাজ নয়, সে নামে গুণাঢ্য হ'লেও কার্যত তার এমন কোনো কলাতেই নিপুণতা নেই যে তাঁকে পেতে পারে, অনেক জীবন ধ'রে সাধনার প্রয়োজন।" ভারতীয় কাব্যে সরস্বতীর সঙ্গে মর্ত্যমানবের মিলন কিছু নতুন কথা নয়। মহাভারতে এর ইঙ্গিত আছে, বাণভট্টের কাদম্বরীতে জনৈক ঋষিপুত্রের সাথে সরস্বতীর প্রেমলীলার সানুপুঙ্ক্ষ বর্ণনা অবধি আছে। কিন্তু, 'মেঘমল্লার'-এর দুষ্টচরিত্র গুণাঢ্য সে মিলনসুধার উপযুক্ত পাত্র ছিল না। দেবীকে সে তপস্যার বলে নয়, ছলনার বলে অধিকার করতে চেয়েছিল। তাই, গুরুপ্রদত্ত মন্ত্রাভিচার ও প্রদ্যুম্নের কলাবিদ্যার শক্তিতে সরস্বতীকে বন্দিনী করতে পারলেও নিজের প্রতি উন্মুখী করতে পারেনি, কারণ সে মন্ত্রের "বন্ধনশক্তি থাকলেও আকর্ষণীশক্তি নেই।"
প্রকাশকালের দিক থেকে যেমন, তেমনই প্লটে বর্ণিত সময়ের দিক থেকেও 'মেঘমল্লার' হচ্ছে 'তারানাথ তান্ত্রিকের দ্বিতীয় গল্প (মধুসুন্দরী দেবীর আবির্ভাব)' এর পূর্বসূরী। গুণাঢ্য সরস্বতীর প্রণয় পায়নি, তারানাথ মধুসুন্দরীর প্রণয়মদিরা আকণ্ঠ আস্বাদন করেছেন। যাক, সে কথার বিস্তার এখানে থাক বরং। আমরা 'মেঘমল্লার' গল্পের আলোচনায় ফিরি৷
এ গল্পের শুরুর দিনটি জ্যৈষ্ঠ সংক্রান্তি, পূর্ণিমাতিথি। শুরুর স্থানটি দশ পারমিতার মন্দির। অর্থাৎ, বিমূর্ত ধারণা থেকে দশ পারমিতা সেই মহাযান-যুগে মূর্ত দেবতায় পরিণত এবং নিত্যপূজিত। সে মন্দিরে নিত্য চলে সন্ধ্যারতি, লোকের ভিড় জমে, এবং কিশোরী সুনন্দা আরতি অবধি মন্দিরে থাকে, তারপর বাড়ি ফেরে— এ কথা জেনে তার পিতার আপত্তি ঘটে না। জ্যৈষ্ঠ সংক্রান্তির উৎসবে চারপাশের গ্রাম থেকে মেয়েরা আসে পুজো দিতে, সেই উপলক্ষ্যে রীতিমতো মেলাও বসে। অন্যদিকে, মহাযান বৌদ্ধধর্মের এই ঐশ্বর্য-মুখর সময়ে, বিহারের অনতিদূরে প্রাচীন সরস্বতী মন্দির থাকে অবহেলিত, প্রায় ভগ্নস্তূপে পরিণত, প্রতিমাহীন। বিহারের আচার্য বসুব্রত বারবার বোঝাতে চান, "কলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর যে মূর্ত্তি হিন্দুরা কল্পনা করেন, সেটা নিছক কল্পনাই, তার সঙ্গে বাস্তবের কোন সম্পর্ক নেই।" মহাযানের ব্যাপ্তির পাশাপাশি বজ্রযানের সাড়ম্বর আগমন-ধ্বনিও এ গল্পে শোনা যাচ্ছে আচার্য পূর্ণবর্দ্ধনের উক্তিতে, "পদ্মসম্ভব আর তার কতকগুলো কাণ্ডজ্ঞান-হীন তান্ত্রিক শিষ্য দেশের ধর্ম্ম-কর্ম্ম লোপ করতে বসেছে। স্বার্থসিদ্ধির জন্য এরা না করতে পারে এমন কোনও কাজই নেই..."। সুতরাং এই গল্পের ঘটনাপ্রবাহ পদ্মসম্ভবের সমকালীন, অর্থাৎ অষ্টম কিংবা নবম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে। মহাযান বৌদ্ধমত তখন ঐশ্বর্যের শিখরে, এবং হিন্দু, বজ্রযান, আজীবক প্রভৃতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার রেষারেষি।
এ গল্পের নায়ক প্রদ্যুম্ন, সে মহাকোটঠি বিহারের তরুণ বিদ্যার্থী। "অবাধ্যতা ও অযথা কৌতুকপ্রিয়তা" তার মজ্জাগত। পূর্ণিমারাত্রে অনায়ত্ত ত্রিপিটকের পাঠ ফেলে রেখে সে বেরিয়ে পড়ে প্রেয়সী সুনন্দাকে বাঁশি শোনাবে বলে। তার অবাধ্য মন যে "পরিপূর্ণ জ্যোৎস্নারাত্রে মহাকোটঠি বিহারের পাষাণ অলিন্দে মানসসুন্দরীদের পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়ায়"। ত্রিপিটকের আরম্ভ যে অমৈথুনের উপদেশে, সে উপদেশ সে মানবে কী করে?
বীণ শিখতে চেয়েছিল প্রদ্যুম্ন, বীণ বাজানোর ওস্তাদ খুঁজতে গিয়েই সে খলবুদ্ধি গুণাঢ্যের চক্রান্তের অংশ হল। বীণ সর্প-বশীকরণের বাদ্য, আর সর্প যে আবিশ্ব জন-চেতনায় কামপ্রতীক, কে না জানে! গুণাঢ্যের চক্রান্তে মেঘমল্লার বাজিয়ে সে দেবী সরস্বতীকে টেনে আনল ভূমিতে, প্রদ্যুম্নের অলক্ষ্যে দেবী আত্মপরিচয় ভুলে দুষ্ট কামুক তান্ত্রিক গুণাঢ্যের বশীকরণ-মন্ত্রে বন্দিনী হলেন। কিন্তু যখনই প্রদ্যুম্ন নিজের অজানিত পাপের কথা জানতে পারল, সে বেরিয়ে পড়ল দেবীর বন্ধনমুক্তি ঘটাতে। এক বছর অনুসন্ধানের পর সে দেবীর সন্ধান পেল ঊরুবিল্ব গ্রামের নিকটে। ঊরুবিল্ব গ্রামে সিদ্ধার্থ মারবিজয়-পূর্বক বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন, এবং অবিশ্বাসীদের প্রত্যয় উৎপাদনের জন্য পরবর্তী সময়ে এক মহানাগকে দমিত করেছিলেন। বুদ্ধের কামবিজয় ও নাগবিজয়ের লীলাভূমি এই স্থানে প্রদ্যুম্ন দেবীকে গুণাঢ্যের গুরুপ্রদত্ত মন্ত্রঃপূত জল ছিটিয়ে সচেতন করল, মুক্ত করল।
আর তার নিজের কী হল? গুণাঢ্য বলেছিল, এই জলস্পর্শে দেবীর মুক্তি যে ঘটাবে, সে চিরকালের জন্য পাষাণ হয়ে যাবে, তাকে স্বয়ং দেবীও উদ্ধার করতে পারবেন না। নিজের নাম-ধাম পর্যন্ত গোপন করা এই মিথ্যাচারী খলের সব কথাকেই সত্য বলে গ্রহণ করার দায় তো পাঠকের নেই। বোধকরি, বিভূতিভূষণেরও নেই, যে কারণে তিনি প্রদ্যুম্নের পাষাণীভবনের ঘটনাটি সুনন্দার স্বপ্ন ছাড়া, প্রত্যক্ষভাবে গল্পে বর্ণনাই করেননি!
কিন্তু, প্রদ্যুম্ন যদি পাষাণ হয়েও যায়, সে দশা কি সত্যই চিরস্থায়ী? তার মুক্তির কোনও পূর্বাভাস গল্পে নেই? আসুন, একটু খুঁজে দেখি।
স্বপ্ন এ গল্পে বিষম গুরুত্বপূর্ণ। প্রদ্যুম্ন আষাঢ়ীপূর্ণিমার রাত্রে স্বপ্ন দেখেছিল, নদীগর্ভে বন্দিনী সরস্বতীর কোমল দুটি চরণে আক্রমণ করছে নিষ্ঠুর মাছের দল, সেই দৃশ্য দেখে হিংস্র হাসি হাসছে গুণাঢ্য-মুণ্ডধারী এক বিরাট মাছ। স্বপ্ন এখানে দৈব ইঙ্গিত। কামদেব মীনধ্বজ, মৎস্য তাই কামপ্রতীক, নদী-অধিষ্ঠাত্রী বন্দিনী দেবীর চরণে মৎস্য-আক্রমণের অর্থ গুণাঢ্যের বিকৃত ও হিংস্র কামার্তি। গল্পের শেষে দেবীর মুক্তিলাভের পর আবার স্বপ্ন, এবার স্বপ্ন বারেবারে দেখছে বিরহিণী সুনন্দা। কী সেই স্বপ্ন? অচেনা পাহাড়ে ঘন বেতবন আর বাঁশের বনের মধ্যে লুকনো এক অর্ধভগ্ন পাষাণমূর্তি, এবং অন্ধকার অর্ধরাত্রে জনহীন পাহাড়ে "বাঁশগুলোর মধ্যে ঝোড়ো হাওয়া ঢুকে কেবল বাজছে মেঘমল্লার।..."
এই স্বপ্ন স্পষ্টভাবে প্রদ্যুম্নের পুনর্জীবন সম্ভাবনার ইঙ্গিত৷ বংশদণ্ডের মধ্যেই সুপ্ত থাকে ভবিষ্যতের বাঁশি, সেই অনাগত কালের সুরস্রোতের ইঙ্গিতরূপেই বাঁশবনে বাজছে মেঘমল্লার, এই গল্পের মূল আবহরাগ। যেমন বংশদণ্ড থেকে কালক্রমে আত্মপ্রকাশ করবে বাঁশি এবং বাঁশি থেকে সুর, ঠিক সেভাবেই প্রদ্যুম্নের এই "অর্দ্ধভগ্ন পাষাণমূর্তি" ক্রমে সঞ্জীবিত হবে। দেবীর বন্ধনদশার পরেই সে দশা স্বপ্নে দেখেছিল প্রদ্যুম্ন, দেবীর ভাবী উদ্ধারক। প্রদ্যুম্নের পাষাণীভবনের পরে সেই স্বপ্ন-ইঙ্গিত এসে পৌঁছোচ্ছে সুনন্দার চেতনায়, যার মধ্যে সুপ্ত রয়েছে প্রদ্যুম্নের উদ্ধারকর্ত্রী হবার সম্ভাবনা।
ভারতের পুরাণকথায় প্রদ্যুম্ন পুনর্জীবিত কাম। স্বাধিকারপ্রমত্ত কাম হরকোপানলে দগ্ধ হবার পর রতির তপস্যায় তাঁর পুনরুজ্জীবন। অভিন্ন লক্ষ্মীরূপিণী রুক্মিণীর গর্ভজাত প্রদ্যুম্ন-কামের আশৈশব ধাত্রী ছদ্মবেশিনী রতি, পরে তিনিই প্রদ্যুম্ন-মহিষী মায়াবতী। আর এই যে রতির অভিযাত্রা, সেখানে বাংলার কবি রতির সখীরূপে এনেছেন আকাশচারিণী সরস্বতীকে; দেবী ভবিষ্যকথন করেছেন, "হিতবাণী তোরে কহি শুন সই রতি। আমার বচনে তুমি কর অবগতি। আনলে পুড়িয়া নষ্ট না করিহ তনু। অবিলম্বে পাবে তুমি স্বামী ফুলধনু।" কালিদাসের কুমারসম্ভবে যিনি ছিলেন বিমূর্ত আকাশবাণী, মুকুন্দের চণ্ডীমঙ্গলে তিনিই দেবীরূপিণী সরস্বতী, কাম ও রতির পুনর্মিলনের সেতু।
'মেঘমল্লার' গল্পে ভারতীয় গণমানসের এই সামূহিক চৈতন্যের ছায়া। স্বাধিকার-প্রমত্ত কামের উচ্ছৃঙখলতা অবাধ করেছে যে নায়ক, সে প্রদ্যুম্ন। পুরাণের কাম লক্ষ্মীপুত্র। বিভূতিভূষণের প্রদ্যুম্নও সরস্বতীকে "বিশ্বের সৌন্দর্য্যলক্ষ্মী" অভিধা দিয়েছে, ‘মা’ বলে ডেকেছে। (আধুনিক বাঙালি কবিমানসে সরস্বতী আর লক্ষ্মী একীভূত, রবীন্দ্র-কাব্যপ্রবাহ থেকে অজস্র উদাহরণ দেওয়া যায়।) সরস্বতীর পুনর্জাগরণ-মুহূর্তে প্রদ্যুম্নের স্মৃতিপথে উদিত হয়েছেন তার গর্ভধারিণী, একাকার হয়ে গিয়েছেন ব্যক্তিমাতা আর বিশ্বমাতা।
অজানিত দেবীদ্রোহের অপরাধের দণ্ড প্রদ্যুম্ন স্বয়ং গ্রহণ করেছে, শুরু হয়েছে পাষাণরূপে তার প্রায়শ্চিত্তযাপন। আর, তার প্রতীক্ষায় থাকা একচারিণী সুনন্দার স্বপ্নে আরম্ভ হয়েছে দৈবের ঈশারা। দৈবের ঈশারা, নাকি শুভাকাঙ্ক্ষিণী সরস্বতীর ইঙ্গিত?
সরস্বতীর বন্ধনদশা ঘটবার প্রাক্কালে সমগ্র বর্ষামুখর প্রকৃতির মধ্যে বিভূতিভূষণ দেখেছিলেন মেঘদূতের বিরহিণী পুরসুন্দরীর ছায়া। ভদ্রাবতী নদীটির মধ্যে তিনি দেখেছিলেন মিলনোৎসুকা সুন্দরীর প্রিয়-অভিসার। গল্পের শেষে, এই বিরহিণী ও মিলনেচ্ছাময়ী ব্যাপ্ত প্রকৃতি সংহত হয়ে এল একটি নারীর মধ্যে, সে সুনন্দা। পাঠক হিসাবে কল্পনা করতে আমাদের ভালো লাগে, সুনন্দার এই ব্যাকুল প্রতীক্ষা একদিন শেষ হবে। সরস্বতী-নির্দেশিত তপশ্চর্যায় সে সম্ভব করবে প্রদ্যুম্নের পুনরুত্থান। ততদিন, অন্ধকার মধ্যরাত্রের স্বপ্নে সে শুনতে পাবে মেঘমল্লার।
কী আছে ওই সুরের মধ্যে? সরস্বতীর উদ্দেশে সরস্বতী-পুত্রের কোনও নিগূঢ়, নীরব প্রার্থনা? হয়তো বা, খানিকটা এরকম...
তোমার কাছে এ বর মাগি, মরণ হতে যেন জাগি
গানের সুরে ॥
যেমনি নয়ন মেলি যেন মাতার স্তন্যসুধা-হেন
নবীন জীবন দেয় গো পুরে গানের সুরে ॥
সেথায় তরু তৃণ যত
মাটির বাঁশি হতে ওঠে গানের মতো।
আলোক সেথা দেয় গো আনি আকাশের আনন্দবাণী,
হৃদয়মাঝে বেড়ায় ঘুরে গানের সুরে ॥
Powered by Froala Editor