দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে দেশের উন্নয়ন। যোগাযোগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন নির্মাণ— সব ক্ষেত্রেই চলছে পরিকাঠামো তৈরির কাজ। নগরায়ন। তবে এই উন্নতির জন্য কুড়ুল পড়ছে অরণ্যেরই পায়ে। এমনই তথ্য দিল সাম্প্রতিক রিপোর্ট। বুধবার জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের (এনএসও) রিপোর্ট জানাল ২০১২-২০১৬ সালের মধ্যে দেশে বনাঞ্চল হ্রাস পেয়েছে ১.০৯ শতাংশ। অন্যদিকে ‘সভ্যতা’ বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৯৯ শতাংশ।
ভারতের চিরহরিৎ অরণ্য ব্যাপকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই উন্নয়নের দৌড়ে। তবে বনভূমির পাশাপাশিই কোপ পড়েছে দেশের পতিত জমিতেও। ভারতের অভ্যন্তরীণ জলাভূমি কমেছে ৬.৯ শতাংশ। শুধুমাত্র কচ্ছের রনেই ১৪.৩২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে পতিত জমির পরিমাণ।
প্রাকৃতিক সম্পদের আদমশুমারির অন্তর্গত ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছিল ভারতের ব্যবহৃত জমির পরিসংখ্যান। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস এই রিপোর্ট তৈরি করে। তবে এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নতুন করে উঠে আসছে আরও একটি জল্পনা, বিতর্ক।
গত বছর ভারতের বন পরিসংখ্যার রিপোর্টে উল্লেখিত হয়েছিল ২০১৭ সালে ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতের বনভূমি। তবে বাস্তবে সেই ছবি পুরো উল্টো। বৃদ্ধি পাওয়ার পরিবর্তে ২০১২ সাল থেকে জমি কমেছে ১.০৯ শতাংশ। তবে এফএসআইয়ের (ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া) দাবি দুই পৃথক রিপোর্টে বন নির্ধারণের প্রক্রিয়ার ভিন্নতার জন্যই এই তারতম্য।
তবে এনএসও-র রিপোর্টে একরকম স্পষ্ট করেই দেখানো হয়েছে, বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল পরিণত হয়েছে জলাজমি, চাষের জমি। ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন নির্মাণ কার্যে। রিপোর্টে জানান হয় শুধু বনজ সম্পদ থেকেই ভারতে আসে জিডিপির ২.৫ শতাংশ আয়। সেক্ষেত্রে বনভূমির প্রতিই অবহেলা করা হচ্ছে কেন, সেই বিষয়েই প্রশ্ন উঠে আসছে রিপোর্ট থেকে...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পঞ্চেশ্বর বাঁধ প্রকল্পের কোপে পিথৌরাগড় বনভূমি, কাটা পড়তে পারে ৩ লক্ষ গাছ