বেঙ্গালুরুর রাস্তায় এর আগেও দেখা যেত তাঁকে। রাস্তার ধারে চুপচাপ বসে চারাগাছ বিক্রি করতেন তিনি। বৃদ্ধ মানুষটির একটি হাতে ধরা থাকত কালো ছাতা। সূর্যের তাপ থেকে তো রক্ষা পেতেন। কিন্তু অভাবের জ্বালা সবসময় কুড়ে কুড়ে খেত তাঁকে। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক অচলাবস্থার মধ্যেই নতুন করে বেঁচে থাকার স্বাদ খুঁজে পেলেন তিনি। তাঁর ব্যবসার পাশে এসে দাঁড়াল শহরের মানুষ। আর সবটাই সম্ভব হয়েছে সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে।
দিন কয়েক আগে শুভম জৈন নামে এক ব্যক্তি ট্যুইটারে রেবানা সিদ্দাপ্পার ছবি প্রকাশ করেন। বৃদ্ধ বয়সেও যে মানুষটি লড়াই করে যাচ্ছিলেন দারিদ্র্যের সঙ্গে। শুভম জৈনের ট্যুইটের পরেই বেঙ্গালুরুর অসংখ্য মানুষ তাঁর সঠিক ঠিকানা জানতে চান। সম্পূর্ণ ঠিকানা দিয়ে আরেকটি ট্যুইট করেন অভিনেতা রনদীপ হুডা। আর তার পরেই তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে এগিয়ে আসেন শহরের মানুষ।
এর মধ্যে ‘চেঞ্জমেকার অফ কনকপুরা রোড’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন এগিয়ে আসে। চাঁদা তুলে তারা একটি চেয়ার-টেবিল কিনে দেয় রেবানা সিদ্দাপ্পাকে। আর তার সঙ্গে একটি স্থায়ী ছাতা। সঙ্গে কিছু অন্য ধরনের গাছের চারাও তুলে দেয় তাঁর হাতে। সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে এখন তাঁর কাছে আসেন অনেক ক্রেতাই। এতদিন পর যেন হঠাৎ লাভের মুখ দেখছেন তিনি। এই মহামারী পরিস্থিতিতেও এমন ঘটনা যেন সত্যিই নজির সৃষ্টি করে। সিদ্দাপ্পার হাতেই যেন সবুজের ছোঁয়া পেতে চাইছে শহর বেঙ্গালুরু।
Powered by Froala Editor