জীবনের ১১১টি বসন্ত পেরিয়ে এসেছেন তিনি। দেখেছেন স্বাধীনতার উত্তাল মুহূর্ত, ভারতের ক্রম বিবর্তন। আজ, এই বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছেও, নিজের দায়িত্ব ভোলেননি। শনিবার, দিল্লির ভোটে অংশ নিলেন কালীতারা মণ্ডল। তিনিই সেখানকার সবথেকে বৃদ্ধ ভোটার।
১৯০৮ সালে বরিশালে (বর্তমানে বাংলাদেশে) জন্মেছিলেন কালীতারা মণ্ডল। জন্মের ঠিক তিন বছর আগেই ঘটে গেছে কার্জনের বঙ্গভঙ্গ। গোটা বাংলা উত্তাল; স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তরুণরা। এমন পরিস্থিতিতেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। নিজের চোখে দেখেছেন পরাধীনতার সেই দিনগুলো। দেখেছেন দেশভাগ। নিজেও তাঁর স্বীকার হয়েছিলেন। নিজের জায়গা বরিশালে প্রথম ভোট দিয়েছিলেন। কী কারণে, সেটা আজ আর মনে নেই। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় এদেশে আসার পর ইন্দিরা গান্ধীকে প্রথম ভোটটি দিয়েছিলেন। তারপর থেকে একবারও মিস হয়নি তাঁর। ব্যালট পেপার থেকে ইভিএম— সমস্ত ইতিহাস ছুঁয়ে তিনি আজও বেঁচে আছেন প্রবলভাবে।
বর্তমানে দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের বাসিন্দা কালীতারা দেবী। ১১১ বছর বয়সেও নিজের ভোটদানের কর্তব্য থেকে ভোলেননি। দিল্লির ভোটেও তাঁর উপস্থিতি সমানভাবে। নির্বাচন কমিশনের অফিসারদের সঙ্গে স্পেশ্যাল ‘ভিভিআইপি’ হয়ে এসডিএমসি প্রাইমারি স্কুলে গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন এই বৃদ্ধা। শনিবারের দিল্লি নির্বাচনে কালিতারা মণ্ডলের মতো আরও ১৩২ জন ‘সেঞ্চুরিয়ন’ ভোটার ভোট দিলেন।