আড়াই মিনিটেই শনাক্ত করা যাবে করোনা, চমক বাঙালি বিজ্ঞানীদের

ভাইরাসের সংক্রমণ আয়ত্তে আনতে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং যেমন দরকার, তেমনই দরকার পাল্লা দিয়ে করোনার টেস্ট বাড়ানো। আর তার জন্যই সরকার হেঁটেছে র্যা পিড অ্যান্টিবডি টেস্টের দিকে। তবে অ্যান্টিবডি টেস্টে উপসর্গহীনদের রিপোর্টে সম্ভাবনা থেকে যায় ভুল থাকার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরটিপিসিআরেও ভুল নজরে এসেছে চিকিৎসকদের। তবে সেই সমস্যার সমাধান করে ফেললেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা। সন্ধান দিলেন করোনা চিহ্নিতকরণের নতুন উপায়।

গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লি ইনস্টিটিউট অফ জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি’র অধ্যাপক শান্তনু সেনগুপ্ত। এই গবেষণায় জড়িয়ে ছিলেন আইজিআইবি’র বিজ্ঞানী দেবাশিস দাস এবং ডিআইআইটি’ত বিজ্ঞানী অর্জুন রায়। সম্প্রতি এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে দেশের প্রথম সারির একটি বিজ্ঞান পত্রিকায়। 

মাস-স্পেকট্রোস্কোপির উপরে ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে এই নতুন ভাইরাস খুঁজে পাওয়ার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রথমে রোগীর থেকে সংগৃহীত নাকের রসকে ডিটারজেন্টের মাধ্যমে মিশিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক সংযোগে তা সেন্ট্রিফিউজ করা হয়। প্রথমত, এতে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় ফলে গবেষকের দেহে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে না। দ্বিতীয়ত ভাইরাসের প্রোটিনগুলি রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে তৈরি করে পেপটাইড। যা থেকে সহজেই চিহ্নিত হয়ে যায় ভাইরাসের অস্তিত্ব। আর সময়ও লাগে মাত্র আড়াই মিনিট।

এখনও অবধি ৫৪ হাজার ভাইরাসের স্ট্রেনকে এইভাবে পরীক্ষা করেছেন তাঁরা। তবে ভুল আসেনি কোনো ক্ষেত্রেই। এই পদ্ধতি হার মানিয়েছে আরটিপিসিআরের দক্ষতাকেও। নতুন এই পদ্ধতির দিশারী শান্তনু সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ভাইরাসের মিউটেশন হলেও তা চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এই প্রক্রিয়ায়। বর্তমানে এটির পর্যালোচনা করে দেখছেন ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিজ্ঞানীরা। খুব শীঘ্রই হয়তো চালু হয়ে যাবে এর ব্যবহার। চিকিৎসকদের কাছে আরও সহজ হবে মহামারীর আবহে যুদ্ধ জারি রাখা। রিপোর্টও পাওয়া যাবে দ্রুত...

Powered by Froala Editor

More From Author See More