সোমবার থেকেই ধর্মস্থানগুলি খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের মত মন্দিরগুলি জানিয়েছিল, মহামারীর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মন্দিরগুলি খোলা হবে না। এবার সেই পথেই হাঁটল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। লকডাউন শিথিল হলেও বন্ধ থাকবে রাজ্যের মসজিদগুলি।
গতকাল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন এ-কথা। ইসলাম ধর্মলম্বীদের তিনি অনুরোধ করেন গত দু’মাসের মত বাড়ি থেকেই প্রার্থনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি জানান, এই মুহূর্তে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি ব্যবস্থাগুলিই খোলা উচিত। ধর্মস্থানগুলি বন্ধ থাকলে ক্ষতি হবে না কারোর। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তীকালে খোলা হবে মসজিদগুলি।
রাজ্য সরকারের ঘোষণায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ধর্মস্থানগুলি খুললেও ১০জনের বেশি মানুষকে একসঙ্গে প্রবেশ করানো চলবে না। কিন্তু দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়লে এই নিয়ম বজায় রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। বাড়বে সংক্রমণের আশঙ্কাও। তাই মন্দির ও মসজিদের কর্মকর্তারা ধর্মীয়স্থানগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকেই বেছে নিল শেষ পর্যন্ত।
Powered by Froala Editor