দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ থাকে বেলুড় মঠ। বিশেষ করে বেলুড় মঠের কুমারী পুজো। প্রতি বছর অন্তত দু’লক্ষ ভক্ত এই পুজো দেখতেই ভিড় করেন বেলুড় মঠ প্রাঙ্গণে। কিন্তু কিছু দিন আগেই বেলুড় মঠে ভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৪ জন সন্ন্যাসী এবং ১৫ জন কর্মচারী। আর তার জেরেই এবার ভক্তদের মঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করল মঠ কর্তৃপক্ষ।
করোনা সংক্রমণের জেরে এ-বছর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকেই তাই বেছে নিল বেলুড় মঠ। এ-বছর সংক্রমণ রুখতে বেলুড় মঠের ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে দুর্গাপুজো। প্রচলিত বৈদিক নিয়মেই এইবার দেবীর পুজো হবে মঠে। তার রীতিতে কোনো হেরফের হবে না। আয়োজিত হবে কুমারী পুজো এবং সন্ধিপুজোও। তবে এ-বছর সেই অনুষ্ঠান হবে মূল মন্দিরের ভিতরেই। এবং মূল মূর্তিপুজো হবে নাটমন্দিরে।
২০০০ সাল থেকে মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণে প্যান্ডেল করে শুরু হয় দুর্গাপুজো। মন্দিরের ভিতরে বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাগম বন্ধ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মঠ কর্তৃপক্ষ। কুড়ি বছর বাদে রেশ পড়ছে সেই রীতিতেই।
www.belurmath.org ছাড়াও এই পুজো অন্য বছরের মতোই দেখা যাবে দূরদর্শনের সম্প্রচারের মধ্য দিয়েও। ফলে সশরীরে উপস্থিত না থেকেও দেবীর আরাধনা চাক্ষুষ করতে পারবেন দর্শকরা। পাশাপাশি ভক্তেরা পুজোও দিতে পারবেন মঠের বাইরে নির্মিত অস্থায়ী অফিসে। রবিবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা এবং অন্যদিনে বিকাল সাড়ে তিনটে থেকে ৫টা অবধি দেওয়া যাবে পুজোর সামগ্রী। চাইলে ভক্তেরা দান করতে পারবেন সেখানেই। সব মিলিয়ে এই বছর এক অন্যরকমের পুজো হতে চলেছে বেলুড় মঠে...
Powered by Froala Editor