দক্ষিণেশ্বর থেকে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে এগোতে থাকলেই কিছুক্ষণ পরে কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে। তখনই রাস্তার দুধারে তাকালে দেখতে পাবেন দুপাশে পাহাড়ের মতো উঁচু হয়ে আছে জঞ্জালের স্তুপ। আর তার থেকেই বেরিয়ে আসছে বিকট দুর্গন্ধ। বেশ কিছুদিন ধরেই এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সেই মামলার সূত্রেই রাজ্যকে জরিমানার নির্দেশ দিল জাতীয় পরিবেশ আদলত (এনজিটি)।
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দুধারে দীর্ঘদিন ধরে জঞ্জাল ফেলে আসছে দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম এবং বরাহনগর পুরসভা। এমনকি আগে রাজারহাট এবং গোপালপুর এলাকার আবর্জনাও জমা হত এই ভাগাড়ে। আর প্রতি বিকালে নিয়ম করে সেই আবর্জনায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলে আশেপাশের মানুষের অবস্থা রীতিমতো সঙ্গীন হয়ে ওঠে। সেই সূত্রেই ২০১৭ সালে মামলা গড়ায় পরিবেশ আদালতে। আর দীর্ঘ মামলা চলার পর অবশেষে বড়ো প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।
অভিযোগকারীদের সঙ্গে একমত হয়ে আদালত জানিয়েছেন, এই অভ্যাসের ফলে পরিবেশের রীতিমতো ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি সরকার যে টিন দিয়ে ভাগাড় ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতেও কোনো সুফল পাওয়া যাবে না বলেই জানিয়েছে আদালত। ১০ জুলাই অনলাইনেই চলেছে মামলার শুনানি। আর তার রায় বেরিয়েছে সম্প্রতি।
তবে এই মামলায় রাজ্য সরকারকে কত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, সেটা ঠিক করবে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনো আধিকারিকই এই নিয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি। বরং তাঁদের দাবি, লকডাউনের ফলে নোটারি পাবলিক পাওয়া যায়নি বলেই সরকার আদালতে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। কিন্তু প্রস্তাবিত বায়ো-গ্যাস প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি কেন, বা এতদিন ধরেও পরিবেশ রক্ষার জন্য আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেন, তার কোনো জবাব দেননি কেউই।
আরও পড়ুন
একমাসে ৬৩.৩ মেট্রিক টন আবর্জনা অপসারণ, গিনেস বুকে নাম উঠল মিঃ হুইলের
Powered by Froala Editor