অবশেষে চিন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুলল বেজিং। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগ্রাসী বক্তব্যের ঠিক এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দেয় দিল্লির চিনা দূতাবাস। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজানের উদ্ধৃতি নিয়ে জানানো হয়, গালওয়ান উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরেই চিনের নিয়ন্ত্রণাধীন। লাদাখ সীমান্তের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পারে এই অঞ্চলে আগেও টহল দিয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর উস্কানির ফলেই শুরু হয়েছে সংঘর্ষ।
বেজিং সূত্রে এইদিন আরও দাবি করা হয় যে কিছুদিন থেকেই সীমান্ত অঞ্চলে অহেতুক জটিলতা সৃষ্টি করে চলেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গালওয়ান অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে সেখানে নদীর উপর ব্রিজ তৈরির চেষ্টাও করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এমনকি চিনের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চিনের সঙ্গে সামরিক স্তরে কূটনৈতিক যোগাযোগ রেখেছিল ভারত। ৬ জুন কমান্ডার স্তরের একটি আলোচনায় শেষ পর্যন্ত সমঝোতা তৈরি করা গিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু ১৫ জুন সেই সমঝোতার শর্ত ভঙ্গ করে আবার উস্কানি দিতে থাকে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এমনকি চিনা সেনাদের একটি প্রতিনিধি দল রফা করতে এগিয়ে এলে তাঁদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। আর এর ফলেই জটিল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।
চিনের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের তরফ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র কথোপকথন শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই পক্ষই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানা গিয়েছে। অবশ্য চিনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, যাঁরা এভাবে উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
পদে-পদে নির্ভরশীলতা, চিনা দ্রব্য বয়কট কি আদৌ সম্ভব ভারতের পক্ষে?