গথাম (Gotham), এক ক্লেদাক্ত, আঁধারঘেরা শহর, যা মানুষের অন্তরের আশাবাদকে নিঙড়ে নেয়, মানবিকতা চুষে খায় প্রতিনিয়ত। অতীত ইতিহাসের লুপ্তপ্রায় গরিমা ও দৈনন্দিন জীবনের অনর্থক ব্যস্ততা গায়ে মেখে খুঁড়িয়ে চলা এক মহানগর, যার প্রতিটা রাস্তা, প্রতিটা উঁচু বিল্ডিং, ছায়াঘেরা প্রতিটা নির্জন গলি-পার্কিং লট-গুদামঘর নাগরিকদের হৃদয়ে ত্রাসের সঞ্চার করে। অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া, রাতের বেলা অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠা একটুকরো নরক, যার অস্তিত্ব গুটিকয়েক শুভবোধসম্পন্ন মানুষের রক্তজল করা পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের ওপরই বরাবর নির্ভর করে এসেছে। গথাম আদতে আমাদের চেনা পৃথিবীরই আঁধারঘেরা, কদাকার প্রতিবিম্ব, বাস্তবেরই সবকিছুই বিকৃতভাবে ধরা দেয় শহরটার আনাচ কানাচে। তাই হয়তো এখানে ঘুষখোর অপরাধীরা কখনও পুলিশের উর্দি, কখনও বা বিচারকের কালো কোট পরে ঘুরে বেড়ায়, সাধারণ মানুষ আইন-প্রশাসনের থেকে মুখ ফিরিয়ে বাঁচে, অপরাধীরা দার্শনিক তত্ত্ব আওড়ায়, নায়করা মুখোশের আড়ালে আত্মগোপন করে।
তাই যখন অপেরা দেখে ফেরার পথে ওয়েন পরিবারের পথ আগলে দাঁড়ায় ছিনতাইবাজ জো চিল, পরপর দুটো গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে টমাস ও মার্থা ওয়েন-এর মৃতদেহ, গথাম-এর স্বাভাবিকভাবেই কিছু আসে যায় না। কিন্তু সাত বছরের ব্রুস ওয়েন-এর গোটা জগৎটা রিক্ত হয়ে যায় এক নিমেষে। কাচের ঘরের মতো ভেঙে টুকরো হয়ে যায় তার নিরাপদ আশ্রয়; বারুদের গন্ধ, রাস্তায় রক্তের দাগ, মৃত্যুর করাল থাবা—একরত্তি বয়সে এসবকিছুর সঙ্গেই পরিচিত হতে বাধ্য হয় ছেলেটা। ‘দ্য হিরো উইথ আ থাউজ্যান্ড ফেসেস’ বইয়ে জোসেফ ক্যাম্পবেল ‘হিরো’জ জার্নি’ অর্থাৎ নায়কের অভিযানকে তিনটে পর্যায়ে ভাগ করেছিলেন—সেপারেশন, ইনিসিয়েশন ও রিটার্ন। টমাস ও মার্থা-র আকস্মিক মৃত্যু ব্রুস-এর জীবনের সবচেয়ে বড়ো সেপারেশন—এমন এক ট্র্যাজিক বিচ্ছেদ যা তার পরবর্তী জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপ, প্রতিটা সিদ্ধান্ত, প্রতিটা বাঁকবদলে নির্ণায়ক ভূমিকা নিয়েছে।
কথায় বলে, ভাগ্য কেড়ে নেয়, আবার ভাগ্যই ফিরিয়ে দেয়। অনাথ ব্রুস ওয়েন-এর জীবনে তাই ফাদার ফিগার-এর অভাব হয় না। ওয়েন পরিবারের বিশ্বস্ত বাটলার অ্যালফ্রেড শিশু ব্রুস-কে জীবনবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার সবরকম চেষ্টা করেন। কখনও মায়ের আদর, কখনও আবার বাবার শাসন দিয়ে ওয়েন বংশের উত্তরাধিকারীকে সৎ, সহানুভূতিশীল ও নৈতিকভাবে দৃঢ় একজন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াসে কোনো ত্রুটি রাখেন না তিনি। তারপর ব্রুস গিয়ে পড়ে ছায়ার জগতে, গথাম থেকে অনেক দূরে। বদলে যায় তার ফাদার ফিগার-ও। সামনে আসে হেনরি ডুকার্ড (নোলানভার্সে অবশ্য সে-ই দুর্ধর্ষ ইকো-টেররিস্ট রা’স আল গুল)। ব্রুস-কে তার অন্তরের ভয় জয় করতে শেখায় ডুকার্ডরূপী রা’স, পথ ভুল করা পথিককে নতুন রাস্তা দেখায় ‘লিগ অফ শ্যাডোজ’। কিন্ত একসময় ব্রুস বোঝে, রা’স-এর নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা তার পথ নয়। অপরাধীকে ঘৃণা করা ডুকার্ড যখন চেঁচিয়ে বলে, ‘ Your compassion is a weakness your enemies will not share’, ব্রুস শান্তভাবে প্রত্যুত্তর দেয়, ‘That's why it's so important. It separates us from them.’ এখানেই জিতে যায় ব্রুসের বিবেক, অ্যালফ্রেড-এর শিক্ষা, ওয়েন পরিবারের উত্তরাধিকার। নিজের নিয়তিকে বাস্তবায়িত করার দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যায় সে।
আরও পড়ুন
উপসর্গ হাঁচি-কাশি, মারণ ভাইরাস হানা দিয়েছিল ব্যাটম্যানের শহরেও
‘লিগ অফ শ্যাডোজ’-এর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে গথামে ফিরে আসে ‘প্রডিগাল সন’ ব্রুস ওয়েন, আত্মপ্রকাশ করে নির্বোধ ‘বিলিওনিয়ার প্লেবয়’ হিসেবে। কিন্তু সেটা কেবলই তার বহিরঙ্গ, ব্রুস-এর আসল লক্ষ্য গথাম-এর অপরাধ দমন। নিছকই এক ‘ভিজিল্যান্টি’ নয়, নিজেকে আরও বড়ো জায়গায় নিয়ে যেতে চায় ব্রুস— এমন এক প্রতীক, এক রহস্যময় অস্তিত্ব যাকে দেখে অপরাধীদের অস্থিমজ্জা অবধি কেঁপে উঠবে। তার মনে পড়ে যায় রা’স-এর বলা কথাগুলো, ‘ If you make yourself more than just a man, if you devote yourself to an ideal, you become something else entirely’, তার মনে পড়ে যায় ছেলেবেলায় পরিত্যক্ত কুয়োয় বাদুড়দের দেখে জন্ম নেওয়া অবর্ণনীয় আতঙ্কের অনুভূতি। নিজেকে বাদুড়ের আদলেই সাজায় সে, গায়ে চড়িয়ে নেয় কালো ‘কেপ অ্যান্ড কাউল’। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে যে গথাম তলিয়ে যেত অরাজকতার পাঁকে, সে অবাক হয়ে দেখে, গুন্ডা বদমাশরা অন্ধকারকে ভয় পাচ্ছে, ভয় পাচ্ছে এক অজানা বিভীষিকাকে। জন্ম হয় ব্যাটম্যান (Batman) নামক কিংবদন্তির।
আরও পড়ুন
ক্যানসার-আক্রান্ত শিশুর ইচ্ছেপূরণে ব্যাটম্যানের ছদ্মবেশ চিকিৎসকের
‘ব্যাটম্যানঃ ইয়ার ওয়ান’ অনুযায়ী গথাম শহরের বীভৎস রূপ দেখে তরুণ পুলিশ ডিটেকটিভ জিম গর্ডন-এর মনে ঝলসে উঠেছিল অশনি সংকেত। তিনি মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন যাতে তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা না হন, কারণ ‘This is no place to raise a family.’ তবু গথাম-এই থেকে গিয়েছিলেন জিম, হয়তো একটা সময়ে, মনের এক কোণে ভালোও বেসে ফেলেছিলেন হাজার ত্রুটি, লক্ষ সমস্যায় জর্জরিত শহরটাকে। ব্যাটম্যান ইউনিভার্সের অন্যতম ভালো মানুষ জিম গর্ডন—এ নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। ফ্ল্যাস-এর মতো দুর্নীতিপরায়ণ সহকর্মীর ক্রমাগত শ্লেষ-বিদ্রূপ, লোয়েব-এর মতো অযোগ্য কমিশনারের রক্তচক্ষু, কারমাইন ফ্যালকোনি-র মতো অর্গানাইজড ক্রাইম মাফিয়া-র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ সয়েও নিজ কর্তব্যে অবিচল থেকেছেন তিনি, লড়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নিজের মতো করে, সীমিত সামর্থ্যে। সদ্য মাতৃপিতৃহীন বাচ্চাটার দিকে যখন কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না, তখন তার গায়ে কোট জড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে মনুষ্যত্বের যে বার্তা গর্ডন দিয়েছিলেন, তা গভীর প্রভাব ফেলেছিল ব্রুস-এর ওপর। মানুষের ওপর, সত্যের ওপর কখনও ভরসা না হারানো, নৈতিক কম্পাসের কাঁটাকে তার সঠিক অবস্থান থেকে কখনও সরতে না দেওয়া—একাধিক মূল্যবান শিক্ষা ডার্ক নাইট পেয়েছিল গথামের পরবর্তীসময়ের কমিশনার অফ পুলিশের কাছ থেকে।
ব্যাটম্যানের চির-প্রতিদ্বন্দ্বী জোকার-কে নানা কমিক্স শিল্পী নানাভাবে এঁকেছেন, অভিনেতারাও নিজের নিজের মতো করে ফুটিয়ে তুলেছেন তার উন্মাদনাকে। গোল্ডেন এজ যুগের জোকার যেমন ‘ক্লাউন প্রিন্স অফ ক্রাইম’, যার কোনও ষড়যন্ত্রই ব্যাটম্যান-কে সেভাবে কাবু করতে পারে না। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ব্যাটম্যান’ সিনেমার খলনায়ক, জ্যাক নিকলসন অভিনীত জোকার শুরুতে মবস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও এক দুর্ঘটনায় বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে হোমিসাইডাল ম্যানিয়াক-এ পরিণত হয়। হিথ লেজার যে জোকার-এর চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন সে হল ‘এজেন্ট অফ কেওস’, এক ধূর্ত সোশিওপ্যাথ যে কোনো নিয়ম মানে না, যার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য গোটা দুনিয়াকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া। ‘আর্কহ্যাম অ্যাসাইলামঃ আ সিরিয়াস হাউজ অন সিরিয়াস আর্থ’ জোকার-কে অন্য মাত্রায় উন্নীত করে; সে যেন মানুষ নয়, ‘দ্য পারসনিফিকেশন অফ ইনস্যানিটি’। অন্যদিকে জোকুইন ফিনিক্স-এর জোকার সবদিক দিয়েই অ্যান্টিহিরো—সমাজের বঞ্চনা, নিপীড়ন, নির্মমতা কীভাবে একজন অসহায়, দুর্বল মানুষকে দুমড়ে মুচড়ে নৈরাজ্যের প্রতীক বানিয়ে দিতে পারে তার করুণ উদাহরণ।
বারবারা গর্ডন-কে মেরুদন্ডে গুলি করে পঙ্গু বানানো, দ্বিতীয় রবিন জেসন টড-কে শাবল দিয়ে পিটিয়ে আধমরা করে ফেলা—জোকার-এর ঘৃণ্য অপরাধের কোনও সীমা পরিসীমা নেই, অন্তত ব্যাটম্যান কমিক্সের উৎসাহী পাঠকদের কাছে। কিন্তু নোলান-এর সিনেমার দর্শকরা মূলত জোকার-কে চেনেন ব্যাটম্যান-এর ‘অ্যান্টিথিসিস’ হিসেবেই। ডার্ক নাইট-এর শৃঙ্খলাবদ্ধ, লজিক্যাল চিন্তাধারার সম্পূর্ণ বিপ্রতীপে অবস্থান করে জোকার-এর বিশৃঙ্খল, অযৌক্তিক এনার্কি। জোকার স্পষ্টই জানে, তার ও ব্যাটমানের মধ্যেকার সংঘাত কোনো ফলাফলেরই জন্ম দেয় না—‘…an unstoppable force meets an immovable object.’ তবু সে আঘাতের পর আঘাত হেনেই যায়। ব্যাটম্যান-এর কাছে মানুষের প্রাণের মূল্য সবচেয়ে বেশি, সে কাউকে হত্যা করবে না বলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। অন্যদিকে জোকার চায় ব্যাটম্যান-কে উন্মাদনার অতল গহ্বরে টেনে নামাতে, তাই সে ব্যাটম্যানের হাতে খুন হতে চায়। পাগল জোকার-এর এই ‘ডেথ ড্রাইভ’ তার প্রচণ্ড অসুস্থ মনেরই পরিচায়ক—তাই তার পরিকল্পনা বিফল করার পর ব্যাটম্যান প্রতিবার তাকে রেখে আসে আর্কহ্যাম অ্যাসাইলাম-এ। এতে অবশ্য শোধরায় না জোকার। তার পাগলামির কোনো চিকিৎসা নেই, আর তার চেয়েও বড়ো কথা, বিকৃত মস্তিষ্কের অপরাধী জোকার-এর কাছে ব্যাটম্যান হল ‘just too much fun.’
‘দ্য ডার্ক নাইট’ সিনেমার শুরুতে আমরা দেখি, স্কেয়ারক্রো ও চেচেন-এর ড্রাগ লেনদেনের আসর ভেস্তে দেওয়ার পর আইন হাতে তুলে নেওয়া একদল অনুকরণকারীর উদ্দেশে ব্যাটম্যান বলে, ‘I don’t need help.’ কথাটা শোনামাত্র হেসে ওঠে ডঃ ক্রেন—‘not my diagnosis.’ দর্শকের মনে প্রশ্ন জাগে, আদৌ কি ব্যাটম্যান মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ? সত্যিই কি তার মনোচিকিৎসার কোনও প্রয়োজনই নেই? ইয়ুঙ্গিয়ান মতে ‘ইন্ডিভিজুয়েশন’ অর্থাৎ সার্বিক মানসিক সুস্থতার অন্যতম শর্ত হল ‘সেলফ’ অর্থাৎ সত্তা এবং ‘পার্সোনা’ অর্থাৎ মুখোশের মধ্যেকার ভারসাম্য। ব্রুস ওয়েন-এর ক্ষেত্রে এই শর্ত খাটে না—ক্রমশ ব্রুস-এর সত্তাকে গ্রাস করে নেয় ব্যাটম্যান সত্তা। বিষাক্ত হ্যালুসিনোজেন-এর প্রভাব থেকে রেচেল-কে বাঁচাতে গিয়ে গথাম-এর রাস্তায় উন্মত্তের মতো টাম্বলার ছোটানো অ্যালফ্রেড-কে চিন্তায় ফেলে, জোকার-কে খুঁজে বের করার চেষ্টায় অর্ধেক গথামবাসীর সেলফোন-কে সোনার ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা লুসিয়াস ফক্স-এর নীতিবোধকে পীড়িত করে।
ব্রুস ওয়েন নিশ্চিতভাবেই পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার-এর শিকার। রা’স-কে সে যতই বলুক না কেন—‘My anger outweighs my guilt,’ জো চিল-এর হাতের বন্দুক, ছিঁড়ে যাওয়া মুক্তোর মালা, ক্রাইম অ্যালি-র স্যাঁতস্যাঁতে, অন্ধকার রাস্তায় লুটিয়ে থাকা একজোড়া গুলিবিদ্ধ মৃতদেহকে কখনোই ভুলতে পারে না ব্রুস। কিন্তু এটা তার প্রতিবন্ধকতা নয়, বরং শক্তি। এর কারণেই আগ্নেয়াস্ত্রকে ঘৃণা করে সে। নিয়তির প্রহসন মেনে নিতে না পারা, পরিস্থিতির শিকার হার্ভে ডেন্ট ওরফে টু ফেস যখন মনুষ্যত্বের সব সীমা লঙ্ঘন করে ফেলে, তখনও নিজের প্রতিজ্ঞা ভাঙে না ব্যাটম্যান। ডেন্ট-কে আক্রমণ না করে তার পিস্তলের সামনে বুক পেতে দেয়। একমাত্র যখন গর্ডনের নিষ্পাপ ছেলের মাথায় পিস্তল চেপে ধরে অপ্রকৃতস্থ ডেন্ট, তখন ব্যাটম্যান বাধ্য হয়ে তাকে আটকায়।
মৃত হার্ভে ডেন্ট-এর সব অপরাধের দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয় গথামের ডার্ক নাইট, সব যন্ত্রণা পান করে নীলকণ্ঠ হয় স্বেচ্ছায়। কেন? Because he's the hero Gotham deserves, but not the one it needs…’ ব্যাটম্যান মানবতায় বিশ্বাসী, গথাম-এর শুভত্বে আস্থাশীল। সে ভালো করেই জানে, অন্ধকার চিরস্থায়ী নয়, একসময় না একসময় কালো মেঘ কেটে যায়, আকাশে সূর্য ওঠে। তার নিজের চাওয়া পাওয়া বলে কিছু নেই, বৃহত্তর স্বার্থে আত্মবলিদান দিতেও পিছপা হয় না সে। এখানেই তার শ্রেষ্ঠত্ব, তার উত্তরণ। অপরাধী নয়, অপরাধই ব্যাটম্যান-এর একমাত্র শত্রু; তাই রা’স, স্কেয়ারক্রো, জোকার, বেন, তালিয়া কেউ তার মনোবল ভাঙতে পারে না, তাকে হারাতে পারে না। ছাই থেকে উঠে আসা ফিনিক্স-এর মতোই অদম্য সে, কল্পকথার নাইট-দের মতো অপ্রতিরোধ্য। গথাম-এর অতন্দ্র প্রহরী, যার দৃপ্ত আত্মপরিচয় ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় আকাশে-বাতাসে সর্বত্র, সবসময়।
‘I am vengeance! I am the night! I am Batman!’
Powered by Froala Editor