রোজার সময় ইফতারও দেওয়া হয় এই বৌদ্ধমন্দিরে

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ষাটের দশকে নির্মিত হয় বাসাবো বৌদ্ধবিহার। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকেও এই মন্দির দর্শন করতে আসেন অনেকে। ঢাকার বুদ্ধমন্দিরগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। এখানকার ধর্মরাজিক উচ্চ বিদ্যালয়ে বৌদ্ধসহ অন্যান্য ধর্মের শিশুরাও নিয়মিত পাঠগ্রহণ করে।

এই মন্দিরে স্থানীয় শিশুদের নাচ-গানের শিক্ষাও দেওয়া হয়। বাংলাদেশ বৌদ্ধকৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি শুদ্ধানন্দ মহাথের উদ্যোগেই ১৯৬০ সালে এই বৌদ্ধ বিহারের যাত্রা শুরু হয়। বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে আহত ও অনাথ শিশুর জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় ধর্মরাজিক অনাথালয়। রোজা চলাকালীন শিশু এবং অসহায়দের এখানে ইফতারও দেওয়া হয়। মন্দির সংলগ্ন পুকুরের পাশে রয়েছে তথাগতর একটি বিশাল মূর্তি। বুদ্ধ পূর্ণিমায় এই মূর্তির চারিদিকে দাঁড়িয়ে ভক্তরা প্রার্থনা করেন। কমলপুর যাবার পথেই বাসাবো বুদ্ধ মন্দির। পূর্ণ চাঁদের আলোয় তথাগত পদ্মের উপর অধিষ্ঠিত। এইখানে আসার সবচেয়ে ভালো সময় হল বুদ্ধ পূর্ণিমা অর্থাৎ বুদ্ধের জন্মদিনে।

Latest News See More