বিগত কয়েক বছরে পশ্চিমবঙ্গ সাক্ষী থেকেছে বেশ কিছু উড়ালপুল ভেঙে পড়ার। প্রশ্ন উঠেছে সরকারি ইঞ্জিনিয়ার ও টেন্ডারপ্রাপ্ত কন্ট্রাকটরদের কর্মনিষ্ঠা নিয়ে। এরই মধ্যে শনিবার রাত আটটা নাগাদ ভেঙে পড়ে বর্ধমান জংশনের স্টেশন বিল্ডিং। দুজন গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা। দ্রুত উদ্ধারকার্যে হাত দেয় দমকল। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান আরপিএফ এবং রেলের পদস্থ কর্তারা। বহু পুরনো এই বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে নভেম্বর মাসে বর্ধমান জংশনের ওভারব্রিজে পদপিষ্ট হন শিশু ও মহিলা সহ অন্তত পনেরো জন। এরপর সিভিক পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, একটা এত বড়ো ব্যস্ত রেলস্টেশনের ন্যূনতম পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে অপারগ রেল কর্তৃপক্ষ। দুটি করে প্ল্যাটফর্মের মাত্র একটি করে সিঁড়ি। আবার এসকেলেটর বসানোর অজুহাতে বন্ধ করে রাখা হয়েছে একদিকের সিঁড়ি।
ব্যস্ত এই রেলস্টেশনে সারাদিন অসংখ্য যাত্রীর যাতায়াত, স্টেশন চত্বর ঘিরে ব্যবসার ক্ষেত্রটিও বেশ বড়ো। আচমকা বিল্ডিং ভেঙে পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জনমানসে। সেই সঙ্গে কয়েক মাসের ব্যবধানে দুটো বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও কি সচেতন হবে কর্তৃপক্ষ? রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতিই কি দুর্ঘটনার একমাত্র কারণ? উঠছে প্রশ্ন।
ছবি ঋণ - অঞ্জন বিশ্বাস