মাস্ক পরলেও ব্যথা হবে না কানে, চমকপ্রদ আবিষ্কার বর্ধমানের ছাত্রীর

নিও-নর্ম্যালে মানুষের সর্বক্ষণের সঙ্গী মাস্ক। বাইরে মাস্ক ছাড়া বেরনো ডেকে আনতে পারে অবধারিত বিপদ। কিন্তু যাঁদের কাজ দীর্ঘ সময় ধরে বাইরেই। বিশেষত স্বাস্থকর্মী এবং পুলিশকর্মীরা? দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকার জন্য তাঁদের ব্যথা হচ্ছে কানের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। এবার সেই সমস্যারই সমাধান খুঁজে দিল বঙ্গতনয়া। তৈরি করল নতুন অতিরিক্ত সরঞ্জাম। জাতীয় স্তরে পুরস্কারের সম্মানও পেয়েছে এই ছাত্রী।

পূর্ব বর্ধমানের মেমারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী দিগন্তিকা বসু। দিগন্তিকা তৈরি করেছে প্লাস্টিক বা নমনীয় কার্ডবোর্ডের তৈরি একটি বিশেষ যন্ত্রাংশ। যা মাথার পিছনদিকে লাগিয়ে তার সঙ্গেই বেঁধে নেওয়া যাবে মাস্ক। ফলে কানের পাশে আর চাপ পড়বে না মাস্কের ফিতের। যন্ত্রণাও হবে না আর। অতিসাধারণ কিন্তু অভিনব এই নকশাই এখন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে।

দিগন্তিকার দেখানো এই নতুন পথের তাৎপর্য ঠিক কতটা— তা নতুন করে বলার অপেক্ষা থাকে না। ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম ইউনাইটেড মাইল্ড চিলড্রেন ক্রিয়েটিভি এন্ড ইনোভেশনে স্বীকৃতি লাভ করেছে দিগন্তিকার এই আবিষ্কার। এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিল ২২ রাজ্যের বহু খুদে গবেষক। তাদের মধ্যে থেকে দিগন্তিকার উদ্ভাবনীকেই সেরা হিসাবে বেছে নেয় কেন্দ্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। 

তবে এটাই প্রথম নয়। মহামারীর আবহে আরও একটি জাতীয় স্তরের পুরস্কার বাংলায় নিয়ে এসেছে এই কিশোরী। সেবারেও কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রক সেরার পুরস্কার দিয়েছিল দিগন্তিকার তৈরি বিশেষ মাস্ককে। করোনা আবহে দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রগুলির পাশাপাশি তরুণ-কিশোররাও সমান ভাবে ভাগ করে নিচ্ছে সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব। হাজার হাজার দৈনিক সংক্রমণের দিনেও তারাই যেন ভরসা যোগাচ্ছে দুর্দিন কেটে যাওয়ার...

আরও পড়ুন
পাড়ায় জলাভাব, মায়ের কষ্ট মেটাতে নিজেই কুয়ো খুঁড়ল রানিগঞ্জের ছাত্রী

Powered by Froala Editor