হারিয়ে যেতে বসেছে আরেকটি ঐতিহ্য। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া রেজাখোদা মসজিদ। বাংলাদেশের বাগেরহাটের স্থাপত্যটি ১৯৮৫-তে পেয়েছিল এই স্বীকৃতি। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের ঔদাসীন্যের ফলে আজ তা ধ্বংসের পথে।
১৫০০ শতাব্দীতে তুঘলকরাজ খান জাহান এই মসজিদ তৈরি করেন। কিন্তু সেই মসজিদকে আজ মিহরাবের ওপর টেরাকোটা সজ্জা ও প্লাস্টার ছাড়া গুল্ম ও শৈবালের ভিড়ে চেনা দায়। অবশিষ্টাংশ রূপে পড়ে আছে তিনটি মিহরাব, চারটি দেওয়াল আর ভগ্নপ্রায় কিছু পিলার।
স্থানীয় মসজিদের সেক্রেটারি লিয়াকত আলী বলেন,
আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে প্রত্নতাত্বিক বিভাগ মসজিদের কিছু
সংস্কার করেছিল। স্থানীয় মানুষের মসজিদটি সংস্কারের ইচ্ছা থাকলেও আইন বাধ সাধে।
প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের কাস্টডিয়ান গোলাম ফিরদৌস বলেন, 'অ্যান্টিকুইটি অ্যাক্ট অনুযায়ী এই ভাবে স্থাপত্য সংস্কার করা বেআইনি।
যে কোনো সৌধের বিকৃতি, সম্প্রসারণ করাও দণ্ডনীয় অপরাধ।'
ধ্বংসাবশেষের বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করে হলে তিনি বলেন যে,
ওখানে তিনটে মিহরাব আছেন কিনা তা তাঁর স্পষ্ট করে জানা নেই।
মিহরাব ধ্বংস হচ্ছে কিনা এ-বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না। তবে আশ্বাস দেন যে,
আরো আঠেরোটি স্থাপত্য - যেগুলি হেরিটেজ তকমা পেয়েছে, সেগুলি
ও রেজাখোদা মসজিদের সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।