তাঁদের দেশ নেই। ঘর নেই। তাঁরা ‘শরণার্থী’ রোহিঙ্গা। রিফিউজি বলে, তাঁদের ঠিকঠাক বাঁচার অধিকারও ছিল না। সম্প্রতি সেই অবস্থার কিছুটা সুরাহা করল বাংলাদেশ সরকার। এবার সেখানে আশ্রিত ১১-১৩ বছরের রোহিঙ্গা কিশোররাও পড়াশোনা করতে পারবে।
২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে প্রচুর রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তারপর থেকেই সেই শিশুদের পড়াশোনা কার্যত থেমে গেছে। বাংলাদেশের স্কুলে তাদের পড়ারও অনুমতি ছিল না। এবার এই বাচ্চাদের সেই সুযোগই দেওয়া হল। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যদি এই সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে রোহিঙ্গাদের পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষার আলোই পাবে না। হারিয়ে যাবে একে একে। সেটা যাতে না হয়, তার জন্যই এই বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হল।
শরণার্থী সমস্যা এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর একটি সমস্যা, তা বলাই বাহুল্য। এই মানুষগুলোর না থাকে দেশ, না ভিটে-মাটি। সর্বস্ব হারিয়ে অন্য দেশে গিয়ে আশ্রয় পায় তাঁরা। আর সেখানে তাঁদের অবস্থা কীরকম হয়, সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। একটা গোটা প্রজন্ম যাতে নষ্ট না হয়, সেটাই এখন চাওয়া সবার। সেই চাওয়া থেকেই বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ। পৃথিবীতে আর যাতে শরণার্থী সমস্যা না থাকে, সেটাই আমাদের কাম্য…