আর বিপন্ন নয় আমেরিকার জাতীয় পাখি, গত চার দশকে বেড়েছে ঈগলের সংখ্যা

আমেরিকার যে-কোনো সরকারি প্রতীকে একে দেখা যাবেই। কথা হচ্ছে বিখ্যাত বালড ঈগলকে নিয়ে। কিন্তু একটা সময় এই ঈগলের সংখ্যাই অসম্ভব কমে গিয়েছিল। তবে আশার কথা, আবার নতুন করে এদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

খয়েরি রঙের ঈগলটির মাথা ধবধবে সাদা, সেইসঙ্গে শক্তিশালী উজ্জ্বল হলুদ ঠোঁট আর পা। এক কথায় শক্তির অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই পাখিটি। সেজন্যই আমেরিকার জাতীয় পাখির মর্যাদা পেয়েছে এই বালড ঈগল। কিন্তু সত্তর-আশির দশকে এর সংখ্যা ব্যাপক কমে গিয়েছিল। ওহিও শহরে মাত্র চারটি ঈগলের বাসা পাওয়া গিয়েছিল সেই সময়। অবস্থা এমন জায়গায় গিয়েছিল যে, বালড ঈগলকে আমেরিকার অন্যতম ‘বিপন্ন প্রাণী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সেখান থেকেই অবস্থা ঘুরতে থাকে। ওহিও ডিপার্টমেন্ট অফ ন্যাচারাল রিসোর্সের সমীক্ষা অনুযায়ী, গত ৪১ বছরে বালড ঈগলের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটাই। সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ২২১টি বাসা পাওয়া গেছে। যেখানে নতুন করে ৩১২টি ঈগল জন্মেছে। এছাড়াও, ২০১৭-২০১৮’র মধ্যে বালড ঈগলের ২২ শতাংশ ব্রিডিং পেয়ার বেড়েছে। আর এই সংখ্যাটা আরও বৃদ্ধির পথে। অবশ্য এর আগেই, ২০০৭ সালে বালড ঈগলকে ‘বিপন্ন’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

নিজের দেশের জাতীয় প্রাণীকে বাঁচানোর লড়াইয়ে আমেরিকা যে সাফল্য পেয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। দীর্ঘ ৪১ বছরের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফল এটি। আমরা যদি সমস্ত জায়গায় এভাবেই প্রাণীদের বাঁচানোর, পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্র বাঁচানোর উদ্যোগ নিতে পারি, সেটা তো আমাদেরই লাভ! আমাদের দেশের জাতীয় পশু বাঘ বিপন্ন তালিকাভুক্ত। সংখ্যা বাড়লেও, উল্টোদিকে চোরাশিকারের ঘটনাও বন্ধ হয়নি। সেই সঙ্গে সচেতনতার অভাব তো রয়েইছে। সব দিক থেকে, সবাই মিলে চেষ্টা করলে শুধু বাঘ কেন, অন্যান্য জীবদেরও রক্ষা করতে পারব আমরা। সঙ্গে নিজেদেরও।