২০৩৬-এর মধ্যে দেশের গড় বয়স বাড়বে প্রায় ১০ বছর, জানাচ্ছে রিপোর্ট

২০৩৬ সাল, অর্থাৎ আর ঠিক ১৬ বছরের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যার মানচিত্র বদলে যাবে এমনটাই। জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট। এতদিনের প্রচেষ্টায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির সাফল্যই প্রতিফলিত হতে চলেছে খুব শিগগিরি। আর এই ১৬ বছরের মধ্যে দেশের গড় বয়স যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে কাজের চাহিদাও। আর এই প্রক্রিয়া বেশ দ্রুত গতিতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০১১ সালের সর্বশেষ জনগণনা অনুযায়ী দেশের গড় বয়স ২৪.৯ বছর। এই সংখ্যাটাই ২০৩৬ সালের মধ্যে ৩৪.৭ বছরে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, একটি দেশের গড় বয়স খুব বেড়ে যাওয়াও যেমন ভালো নয়, তেমনই গড় বয়স ৩০-এর নিচে হওয়াও সমস্যার। এর ফলে জনসংখ্যার গ্রাফ যে অনেকটাই উর্ধ্বমুখী, তা বোঝা যায় স্পষ্ট। 

২০১১ সাল থেকে ২০৩৬ সালের মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। ফলে ততদিনে দেশের জনসংখ্যা ১৫১ কোটির উপর পৌঁছে যেতে পারে। তবে এরপর অনেকটাই টান পড়তে পারে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে। এই সময়কালের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সি মানুষের সংখ্যা ৩০.৮ শতাংশ ১০.৮ শতাংশে নেমে আসবে। অন্যদিকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা ৮.৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশে পৌঁছতে পারে। বাড়বে ১৫ থেকে ৬০ বছর, অর্থাৎ মোট কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাও। ৬০.৭ শতাংশ থেকে এই সংখ্যা বাড়তে পারে ৬৫.১ শতাংশে।

এই কয়েক বছরে দেশের টোটাল ফার্টিলিটি রেটও কমবে বলেই জানিয়েছে রিপোর্ট। টিএফআর-এর অর্থ প্রত্যেক মহিলার মোট জীবৎকালে গড়ে কতজন সন্তান জন্মাতে পারে। ২০৩৬ সালের মধ্যে এই অনুপাত ১.৭-এ নেমে আসতে পারে। বর্তমানে মাত্রা ২.১। সেটাও খুব আশঙ্কাজনক নয়। তবে দেশের সমস্ত রাজ্যে টিএফআর সমান নয়। কেরালায় দীর্ঘদিন ধরে এই হার ২-এর নিচে। অন্যদিকে এখনও বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে মাত্রা যথাক্রমে ৩.২, ৩ এবং ২.৭। এইসব রাজ্যে পরিবার পরিকল্পনা সফল করতে গেলে সামগ্রিকভাবে সারা দেশের টিএফআর অনেকটাই কমে যাবে।

আরও পড়ুন
রোগী নেই শহরে, বন্ধ হতে চলেছে দেশের বৃহত্তম কোভিড সেন্টার!

তবে এর মধ্যেও আশঙ্কার ঘন মেঘ দেখছেন অনেকে। এই ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দক্ষ রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রয়োজন। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে সুযোগ বাড়ানোও প্রয়োজন। সব মিলিয়ে এই ১৬ বছর ভারতের সামনে এক বড় চ্যালেঞ্জ।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
প্রয়াত বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী গোবিন্দ স্বরূপ, শেষ হল দেশের রেডিও-অ্যাস্ট্রোনমি চর্চার একটি অধ্যায়