বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষের দেখে অনেকেই হয় এড়িয়ে যান, নয়তো তাঁদের করুণার দৃষ্টিতে দেখেন। এই দেখে দেখে ছোটো শিশুরাও শেখে। তাদের স্কুল বা খেলার মাঠে যদি এমন কোনো সঙ্গী থাকে যে বিশেষ ভাবে সক্ষম, তারা তাদেরও এড়িয়ে যায়। দলে নেয় না তাদের, খেলার সঙ্গী হিসেবেও গ্রহণ করা হয় না তাকে। স্বভাবতই, আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে শিশুটি।
কিন্তু সবাই এমন নয়, ব্যতিক্রমও থাকে কিছু। তারা তাদের সঙ্গীটিকে নিজেদের থেকে কোনো অংশে কম ভাবে না। তেমনই নজির রাখল ক্রিস্টিয়ান মুর। আমেরিকার ক্যানসাস রাজ্যের উইচিটা শহরের একটি স্কুল। প্রথম বার এই স্কুলে এসেছে কনর। বছর আটেকের কনর অটিজম আক্রান্ত। আর পাঁচটা বাচ্চার মত সেও প্রথম স্কুলে গিয়ে কাঁদছে। বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ায় শিশুটিকে সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেনি অন্য পড়ুয়ারাও। কিন্তু এগিয়ে এসেছিল ক্রিস্টিয়ান। কনরের হাত ধরে ক্লাসের দিকে নিয়ে যায় সে।
কনরের হাত ধরে থাকা খ্রিস্টানের ছবিটি তুলে ইন্টারনেটে পোস্ট করেন ক্রিস্টিয়ানের মা কোর্টনি মুর। স্বাভাবিক ভাবেই নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ছবিটি। প্রশংসা হবে নাই বা কেন! যখন সবাই তাকে এড়িয়ে চলে গেছে, ক্রিস্টিয়ান তার হাতে হাত রেখেছে। ভরসা দিয়েছে, কনর কারোর থেকে কম নয়।
একটি শিশু যদি এই বোধে চালিত হতে পারে, প্রাপ্তবয়স্করা কি আরেকটু যত্নশীল হতে পারেন না?