এতদিন তাঁর যাতায়াত ছিল মহাকাশে। পৃথিবীর গণ্ডি টপকে, সেই শূন্যেই ছিল তাঁর যাবতীয় কাজকর্ম। রোমাঞ্চকর তো বটেই! কিন্তু মার্কিন মহাকাশচারী ক্যাথি সালিভান এখানেই থেমে থাকতে চাননি। মহাকাশের সঙ্গেই বেছে নিলেন পৃথিবীর তলদেশও। পৃথিবীর প্রথম মহিলা হিসেবে মহাকাশ এবং বিশ্বের গভীরতম জায়গা— দুটোতেই পৌঁছে গেলেন তিনি।
মহাকাশচারী হিসেবে ক্যাথি সালিভানের যাত্রা শুরু হয়েছিল অনেক আগে। সেখানেও তিনি নজির তৈরি করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে প্রথম মার্কিন মহিলা হিসেবে মহাকাশে হেঁটেছিলেন তিনি। নাসার তিনটে স্পেস শাটল মিশনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন ক্যাথি। পরবর্তীতে বারাক ওবামার সময় মার্কিন প্রশাসনেও যুক্ত হন। সব মিলিয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে অন্যতম মুখ ক্যাথি সালিভান।
এবার ক্যাথির অভিযান ছিল পৃথিবীর বুকেই। পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর অংশ, মারিয়ানা খাতের একদম নিচে পৌঁছে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। নিজে একজন ভূতাত্ত্বিক হওয়ায় ভালোমতোই জানতেন এর বিপদ। অত নিচে জলের চাপ যে কি সাংঘাতিক, তা বিলক্ষণ জানতেন তিনি। তাও যেতে চেয়েছিলেন। এবং সেটা করেও দেখালেন। ডিএসএসভি লিমিটিং ফ্যাক্টর সাবমেরিনের সাহায্যে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট গভীরে পৌঁছে যান ক্যাথি সালিভান। সেইসঙ্গে তাঁর নামের পাশে যোগ হয় আরও কিছু কীর্তি। ক্যাথিই বিশ্বের অষ্টম এবং মহিলা হিসেবে প্রথম, যিনি পৃথিবীর গভীরতম স্থানে পৌঁছে গেলেন। আর একইসঙ্গে মহাকাশ এবং মারিয়ানা খাতের গভীর অংশ ছোঁয়ার একমাত্র কৃতিত্বও যে তাঁর! ৬৮ বছরের ক্যাথি সালিভানতাই আজ অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।
Powered by Froala Editor