করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই যেন প্রকৃতিও তার অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছে। একদিকে উত্তর ভারত জুড়ে চলছে প্রবল তাপপ্রবাহ, আর অন্যদিকে ভারতের পূর্বাঞ্চলে এসেছে বৃষ্টি। প্রবল বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন আসামের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ব্রহ্মপুত্র এবং তার শাখানদীগুলিতে প্রতি মুহূর্তে ফুলে উঠছে জল। গোয়ালপাড়া, কামরূপ সহ ১১টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
আসামে বন্যার কবলে ইতিমধ্যে বাসস্থান হারিয়েছেন ৩ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ। এর মধ্যে বন্যার প্রথম আঘাতেই একজনের মৃত্যু ঘটেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গোয়ালপাড়া জেলার। সেখানেই ২ লক্ষের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। বন্যার প্রভাব পড়েছে কৃষিজমির উপরেও। এখনও অবধি অন্তত ২৬০০ হেক্টর জমির ফসল ভেসে গিয়েছে। বন্ধ সড়ক ও রেলপথও। বন্যার ফলে অনেকগুলি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যে ৯টি উদ্ধারকারী দল তৈরি করেছে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা পর্ষদ। ৫৭টি ত্রাণকেন্দ্রে আশ্রয় পেয়েছেন ১৬০০০ মানুষ। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট কম। বন্যা মোকাবিলার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের দিকেও নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনওয়াল। তাই ত্রাণ শিবিরেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে আগামী দুদিন আরও ভারি বৃষ্টির সতর্কতা থাকায় চিন্তিত সকলেই। বৃষ্টি থামার পরেও প্রতীক্ষা করতে হবে জল নামার। আর এই বেহাল অর্থনীতিতে আদৌ কি সুস্থ জীবনে ফিরতে পারবেন আসামের মানুষ? চিন্তিত প্রত্যেকেই।
Powered by Froala Editor