লকডাউন ও ক্রমশ বেড়ে চলা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একেকটি দেশের সীমানা। শুধু কি স্থলভাগের ওপরই প্রভাব পড়েছে? ভুটানের ঘটনা তেমনটা বলছে না। লকডাউনের নিষেধ জারি রয়েছে জলেও। তাঁদের ঘোষণা অনুযায়ী, করোনার এমন পরিস্থিতিতে সেখানে বাইরে কেউ ঢুকতে পারবে না। শুধু তাই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের যে কৃষকরা সেখানকার সেচ ব্যবস্থা ব্যবহার করে নিজেদের চাষের কাজ করে, তাঁরাও আর সেটা করতে পারবেন না। এমন ঘোষণার পরেই প্রতিবাদে নেমেছেন অসমের চাষিরা।
আসাম-ভুটান সীমান্তের লাগোয়া জমিতে চাষ করেন এই ২৫টি গ্রামের চাষিরা। চাষের কাজের জন্য সেচ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ধান চাষের ক্ষেত্রে তা আরও দরকারি। সেইজন্য ভুটান থেকে আসা নদীগুলি থেকে সেচ খালের সাহায্যে নিজেদের জমিতে জল নিয়ে আসেন এই গ্রামের চাষিরা। আজকের কথা নয়, বহুদিন ধরেই এটা চলে আসছে। মূলত ধান চাষের ক্ষেত্রেই এমনটা করা হয়। লকডাউনের সময় ভুটান সরকার ঘোষণা করে, আসামের এই চাষিরা এবার এই জল নিতে পারবে না। যদি এই জল না আসে, তাহলে চাষের ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়বে। কারণ আর কোনো উপায় সেখানে নেই। বিপদে পড়বেন আসামের ২৫টি গ্রামের শতাধিক কৃষক পরিবার।
সেইজন্যই সোমবার থেকে আসামের তামুলপুর সাব ডিভিশনের রোঙ্গিয়া-ভুটান সড়কপথে বিক্ষোভ আন্দোলন করছেন সেই গ্রামের কৃষকরা। যদি জল না আসে, এতগুলো পরিবার না খেতে পেয়ে মারা যাবে। আর তাঁরা তো সীমান্ত পেরোচ্ছেন না; চাষের জলটুকু নেওয়ার জন্যই এতকিছু। সেটুকুর ওপরও নিষেধাজ্ঞা তাঁরা মানতে পারছেন না। চাষিদের একটাই দাবি, আসাম সরকার এই ব্যাপারটার দিকে গুরুত্ব দিক এবং ব্যবস্থা নিক।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আসামে বন্যায় আশ্রয়হীন ৩ লক্ষ মানুষ, মৃত এক; ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসে বাড়ছে দুশ্চিন্তা