নেই একটিও হাত, এশিয়ার প্রথম প্রতিবন্ধী মহিলা চালক হিসাবে লাইসেন্স পেলেন কেরালার তরুণী

জন্ম থেকে নেই দুটি হাতই। কিন্তু তা বলে কি প্রতিবন্ধকতার কাছে হার মানতে হবে? দুর্বলতা নয়, বরং প্রতিবন্ধকতাই তাঁকে জুগিয়েছিল বাড়তি উদ্যম। হাতের পরিপূরক হয়ে উঠেছিল পা-ই। আত্মপ্রত্যয় এবং মানসিক জোর — এই দুইয়ের ভরসাতেই কঠিনতম চ্যালেঞ্জকেই মুঠোবন্দি করেছেন কেরালার জিলুমোল ম্যারিয়েট থমাস। এশিয়ার প্রথম প্রতিবন্ধী মহিলা হিসাবেও লাইসেন্স পেয়েছেন গাড়ি চালনার।

জিলুমোল কেরালার কারিমানুর গ্রামের বাসিন্দা। ছোটো থেকেই শখ ছিল গাড়ি চালানোর। কিন্তু তাঁর পক্ষে কি সম্ভব গাড়ি চালানো? প্রশিক্ষণ নিয়ে শেখা গেলেও কি সরকারি ছাড়পত্র মিলবে তাঁর? এসব প্রশ্নই তাড়া করে বেড়িয়েছে জিলুমোলকে। তবে সেই আক্ষেপ, স্বপ্নপূরণ হয়েছিল ২০১৮ সালে। ততদিন হাত না থাকা সত্ত্বেও গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেয়ে গেছেন বিক্রম অগ্নিহোত্রী নামের এক ভারতীয় ব্যক্তি। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য, লড়াইয়ের জন্য নতুন করে আদর্শ খুঁজে পান জিলুমোল।

২০১৮ সালেই গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। আর তারপরই লাইসেন্স। এশিয়ার প্রথম মহিলা প্রতিবন্ধী চালক হিসাবেও স্বীকৃতি ওঠে তাঁর মুকুটেই। চালানোর সুবিধার জন্য অর্ডার দিয়ে তৈরি করান বিশেষ মারুতিও। এক পা দিয়ে স্টিয়ারিং, অন্য পা দিয়ে ব্রেক এবং অ্যাক্সিলারেটরের কাজ। হাতের বিকল্প এভাবেই খুঁজে নিয়েছেন তিনি। কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি, এখন নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাতায়াত করেন জিলুমোল। 

‘প্রতিভা’ বললেও কি বাড়িয়ে বলা হবে? না ছোটো করা হবে এই লড়াইকে? জিলুমোল ছাড়া তাঁর পরিবারের আর কারোরই অভিজ্ঞতা নেই গাড়ি চালানোর। তবে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সেই স্বপ্নকেই ছুঁয়ে দেখেছেন তিনি। বর্তমান প্রজন্মের হাজার হাজার তরুণ তরুণীর কাছে হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা...

Powered by Froala Editor