পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, আস্তে আস্তে লকডাউন শিথিল হচ্ছে গোটা দেশে। কনটেনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় জনজীবনও স্বাভাবিক করা হবে ধাপে ধাপে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। এখানেও অফিস খুলে যাচ্ছে শীঘ্রই। এরই মধ্যে বিপাকে পড়েছেন ভিন জেলার মানুষরা।
দীর্ঘদিন ঘরে বসে আছেন সবাই। অফিসও বন্ধ হয়ে গেছে মার্চের শেষের দিকে। প্রথমে রাজ্য, পরে গোটা দেশে জারি হয় লকডাউন। সেইসঙ্গে করোনার ভয় তো আছেই। কাজেই অফিস খোলার ঘোষণা হতেই সব জায়গায় তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে গেছে। কলকাতায় যারা দূর দূরান্ত থেকে কাজ করতে আসেন, তাঁরা পড়েছেন মুশকিলে। কারণ, পরিবহন। লকডাউন শিথিল করলেও, করোনার কথা মাথায় রেখে পরিবহনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম এনেছে প্রশাসন। কিন্তু এখনও তো স্বাভাবিক সংখ্যায় রাস্তায় নামেনি কিছুই। ট্রেনও নেই, বাসেরও আকাল। বেসরকারি বাস তো প্রায় বেরোচ্ছেই না।
এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন দুই চব্বিশ পরগণা, নদীয়া, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানের কর্মীরা। কলকাতায় কাজে আসার জন্য যাঁদের ভরসা ছিল ট্রেন, বাস; আজ সেসব কিছুই নেই। কিন্তু বাড়িতে বসে থাকলে তো টাকা আসবে না। কাজেই ভরসা এখন সাইকেল। মাইলের পর মাইল সাইকেল চালিয়ে শহরে আসছেন তাঁরা। দুটো রোজগার যাতে করা যায়, সেটাই চেষ্টা। অত দূর থেকে ক্যাবে করে আসবেন, তেমন আর্থিক অবস্থাও তো নেই তাঁদের। কাজেই, কষ্ট করে হলেও করতে হচ্ছে এমন কাজ। এদিকে কবে পরিবহণ ঠিক হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। উপরন্তু ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে করোনা ভাইরাস। সব মিলিয়ে, বাংলার পরিস্থিতি যে সঙ্গিন, তা বলাই যায়।
Powered by Froala Editor