বছর কয়েক আগে তাঁদের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও, কর্মক্ষেত্রে তাঁরা সুযোগ পান না বলেই চলে। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষদের নিয়েই। সামাজিক লিঙ্গ বৈষম্যের সবচেয়ে বেশি শিকার হন তাঁরাই। এবার এই বৈষম্য ঘোচাতেই অভিনব উদ্যোগ নিল কর্ণাটক সরকার। ভারতের প্রথম রাজ্য হিসাবে কর্ণাটকে (Karnataka) সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকার পদে এবার আবেদন করতে পারবেন তৃতীয় লিঙ্গ ও রূপান্তরকামী (Transgenders) মানুষরা।
সম্প্রতি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগে সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্ণাটক সরকার। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে ১৫ হাজার শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করা হবে বলেই জানিয়েছে দক্ষিণের রাজ্যটি। সেই বিজ্ঞপ্তিতেই উল্লেখিত হয়েছে, সংশ্লিষ্ট পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। পাশাপাশি প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে ১ শতাংশ অর্থাৎ ১৫০টি পদ। তবে আবেদনকারীদের সংখ্যা ১ শতাংশের কম হলে, বাড়তি পদসংখ্যাগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত করা হবে অন্যান্য বিভাগে।
গত বছরই কর্ণাটক হাইকোর্টে এই বিষয়ে দায়ের করা হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা। আদালতের আদেশেই গঠন করা হয়েছিল একটি বিশেষ বোর্ড। এই বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী তৎপরতার সঙ্গেই মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে কর্ণাটক সিভিল সার্ভিস বিধিমালায় পরিবর্তন আনে কর্ণাটক সরকার। তৈরি করা হয় খসড়া বিজ্ঞপ্তি।
তবে পদসংখ্যা সংরক্ষিত হলেও, যোগ্যতার মানদণ্ড অপরিবর্তিত থাকছে প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার মানুষদের জন্য। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর এবং বি.এড ডিগ্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সকলের জন্যই। সেইসঙ্গে আবশ্যিকভাবেই প্রয়োজন লিঙ্গ পরিচয়ের সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুন
সামাজিক বয়কট, নিগ্রহ জয় করে রূপান্তরকামীদের আশা দেখাচ্ছেন অভিনা
এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে রাজ্য পুলিশের দপ্তরেও প্রান্তিক লিঙ্গ-যৌনতার প্রার্থী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল কর্ণাটক সরকার। এবার আরও একবার কর্ণাটক প্রশাসনের উদ্যোগ নজির গড়ল ভারতের বুকে। গোটা দেশের কাছে কর্ণাটক আগামীদিনে রোল মডেল হয়ে উঠতে চলেছে, তাতে সন্দেহ নেই কোনো…
আরও পড়ুন
রূপান্তরকামী প্রার্থী নিয়োগের সিদ্ধান্ত কর্ণাটক পুলিশের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দেশের দ্বিতীয় রূপান্তরকামী হিসাবে পদ্মশ্রী পেলেন কর্ণাটকের যোগাপ্পা নৃত্যশিল্পী