নাম তার ইথাইল। লম্বায় ৮২ ফুট, রীতিমতো এক দৈত্যই বলা যায়। আদতে সে একটি ব্লু হোয়েল, অর্থাৎ নীল তিমি। বাসস্থান নিউ মেক্সিকোতে। এই যে এতকিছু বলা হল, একটা ছোট্ট ব্যাপার মিস হয়ে গেছে। এই তিমির প্রাণ নেই! আদতে ‘ইথাইল’ একটি নীল তিমির ভাস্কর্য। আরও আশ্চর্যের ঘটনা, এই পুরো ব্যাপারটাকেই তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে।
এই পুরো পরিকল্পনাটি করেছিলেন সান ফ্রান্সিসকো’র দুই শিল্পী জোয়েল ডিন স্টকডিল এবং ইয়ুসটিনা সালনিকোভা। সমুদ্রে প্রতি বছর কয়েক লাখ টন প্লাস্টিক ফেলা হয়। এভাবেই বেড়ে যাচ্ছে দূষণ। সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা সেই বর্জ্য সংগ্রহ করেই এই বিশাল নীল তিমির মূর্তিটি তৈরি করেছেন ওই দুই শিল্পী। ফেলে দেওয়া পুতুল, ডাস্টবিন, পুরনো দুধের বোতল-সহ প্রায় পাঁচ হাজার পাউন্ডের প্লাস্টিকের জঞ্জাল সংগ্রহ করে সেগুলো রিসাইকেল করে ব্যবহার করা শুরু করেন। তারপর তৈরি হয় এই ৮২ ফুট লম্বা নীল তিমি! বিশ্বের সবথেকে বড়ো রিসাইকেল প্লাস্টিকের ভাস্কর্যও বটে।
পরিকল্পনাটির মূল উদ্দেশ্যই ছিল পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো। প্রতি বছর যে হারে সমুদ্রে প্লাস্টিক বর্জ্য জমছে, তা রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এতে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে সামুদ্রিক জীবেরা। সেখানকার বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অনেক প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ সংকটে পড়েছে। অথচ সচেতন হচ্ছি না আমরা। সেজন্যই এইভাবেই নীল তিমির মূর্তি তৈরি করে সচেতনতা বৃদ্ধির রাস্তায় হেঁটেছেন শিল্পীরা। ‘ইথাইল’ নামটিও রেখেছেন সেই দিক থেকেই। দিনের শেষে আমাদের সচেতনতা বাড়ে কিনা, সেটাই দেখার।