মানুষের জানার চেষ্টার কোনো শেষ নেই। যুগ যুগ ধরে যেখানেই সামান্যতম রহস্য খুঁজে পেয়েছে সে, সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পৃথিবীর প্রাচীন গ্রন্থগুলো এমনই অজস্র রহস্যের আকর। যেমন ধরা যাক, বাইবেল। কেউ গবেষণা করে, বই লিখে, কেউ বা ঐতিহাসিক অভিযানে বেরিয়ে ঘটনার সত্যাসত্য বিচার করতে নেমে পড়েছেন বারবার। সম্প্রতি তুরস্কের মাউন্ট আরারাটে সেরকমই একটি অভিযানে নেমেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। উদ্দেশ্য একটাই, নোয়া’র আর্কের খোঁজ করা। এবং তাঁদের দাবি, সেই কাজে অনেকটা এগিয়েছেন তাঁরা! বাস্তবে নাকি সত্যিই ওইরকম একটি জিনিস ছিল, এমনই মত তাঁদের…
নোয়া’র আর্কের কাহিনির সঙ্গে অনেকটা বিষ্ণুর মৎস্যাবতারের গল্পের সঙ্গে মেলে। প্রবল বন্যায় পৃথিবীর সমস্ত স্থলভাগ যখন প্রায় ডুবে যাচ্ছে, তখন ঈশ্বর একটি বিশেষ নৌকা তৈরি করে দিলেন নোয়া এবং তাঁর পরিবারের জন্য। তাতে প্রতিটা জীব প্রজাতির একটি করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবে। তাদের নিয়ে নৌকাটি সেই অনন্ত সমুদ্রে পাড়ি দেবে। শেষ পর্যন্ত স্থল দেখা দিলে সবাই মিলে সেখানে উঠবে। অত্যন্ত চেনা কাহিনি আমাদের। এই নৌকাটিই হল নোয়া’র আর্ক।
এখন বাইবেলে বর্ণিত এই বস্তুটির বাস্তব অস্তিত্ব ছিল কিনা, তা নিয়ে বহু আগে থেকেই বিতর্ক চলেছে। বেশিরভাগ ঐতিহাসিক প্রমাণসহ এর বাস্তবতা খারিজ করে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি নোয়া’স আর্ক মিনিস্ট্রিস ইন্টারন্যাশনাল বলে একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযানের কথা ঘোষণা করা হয়। তুরস্ক ও চিনের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেন মাউন্ট আরারাটের কাছেই তাঁরা সাতটি বিশাল বড়ো কাঠের অংশ পেয়েছেন। যা বেশ প্রাচীন বলেই তাঁদের ধারণা। কিন্তু অনেক বিজ্ঞানীই এই ধারণাকে নস্যাৎ করে দিচ্ছেন। কারণ তাঁদের মতে, যদি ধরেও নেওয়া হয় নোয়া’র আর্ক সত্যিই ছিল, সেটা বহু বহু বছর আগে ঘটেছিল। যে কাঠের অংশ পাওয়া গেছে, তা বড়ো কোনো জাহাজের হতে পারে। কিন্তু তা কখনোই বহু প্রাচীন নয়। যতদিন না স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যাচ্ছে, এই বিতর্ক চলতেই থাকবে...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
যিশুর জন্মস্থানের কাছেই উদ্ধার অসংখ্য শিশুর কঙ্কাল, বাইবেলেই আছে গোপন রহস্যের ইঙ্গিত