মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তরুণ কবি অনুষ্টুপ, চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রার্থনা অনুরাগীদের

‘আপাতত একটা অমিল নিয়ে পালানো দরকার। কোনও স্থানু নতজানু মানুষের থেকে দূরে উড়ে গিয়ে পুড়ে যাওয়া দরকার। একটা ঝগড়া দরকার। কোনও মিল নেই এর জায়গায় গিয়ে একটা দাঁড়িপাল্লার কাঁটার মতো ঋজু এক গদ্যস্থতা দরকার! একটা যৌথ মদ্যস্থতা দরকার...’

অক্টোবরের ৬ তারিখ, ঘড়ির কাঁটায় ১২টা বেজে ১৭ মিনিট, হটাৎ একদিন নিরুদ্দেশ হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ-কথা লিখছেন মাস্টারমশাই। তিনি পাল মাস্টার, অনুষ্টুপ পাল। কী কারণে তিনি দূরে যেতে চেয়েছিলেন তা কারোর জানা নেই। হয়তো তিনিই জানতেন, আর নিজে জানতেন বলেই আজ কলকাতার বেসরকারি হসপিটালের আই.সি.ইউ-এর ভেন্টিলেশনে শুয়ে জীবনযুদ্ধের শেষ লড়াইটুকু লড়তে লড়তে সকলকে জানিয়ে দিচ্ছেন মাস্টারমশাই। কিন্তু এই উপখ্যান শেষ হওয়ার নই বরং শেষ যুদ্ধ শুরু। অন্তত তার সাথীরা কোনো অমিল নিয়ে তাঁকে পালিয়ে যেতে দেবেন না।

অনুষ্টুপ পাল, হুগলি জেলার আরামবাগের এক তরতাজা যুবক। পেশায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। বাংলা সাহিত্যে তরুণ প্রজন্মের এক অন্যতম প্রতিভা। তাঁর প্রকাশিত প্রথম বইয়ের নাম 'সেকেন্ড পার্সন'। তাঁর সম্পাদিত ছোট পত্রিকা 'ঘাট (কাকস্নান নিষিদ্ধ)'। খামখেয়ালি ও আবেগপ্রবণ মানুষ। বর্তমানে প্যাংক্রিয়াসের অসুখে জীবন আর মৃত্যুর সঙ্গে কলকাতার এক বেসরকারি হসপিটালে ভেন্টিলেশনে লড়ছেন। ফুসফুসের অবস্থাও ভালো নেই। ইতিমধ্যে খরচা লাগামছাড়া হয়ে গেছে। আরও অনেক টাকার দরকার, তাই চাই সাহায্যের হাত। বাবা'কে হারিয়েছেন অনেক আগেই, বাড়িতে স্বজন বলতে বৃদ্ধ মা। তাঁর মায়ের পক্ষে চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা সহজ কাজ নয়। তাই দরকার মানবিক সহযোগিতার। কারণ তাঁকে ফিরে আসতেই হবে।

ফিরতে হবে কবিতার পাতায়, ফেসবুকের ওয়ালে, সম্পাদনার কলমে। এখনো অনেক কাজ বাকি আছে তাঁর। আসতে হবে আরামবাগের প্রত্যন্ত গাঁয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করিডোরে, স্কুলছুট ছেলেটার বাড়িতে, কচি-কাঁচাদের হাতে খাতা-কলম তুলে দেওয়ার, অসুস্থ ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করার দায়িত্বে। আর ফিরে আসতে গেলে এখনো অনেক অনেক টাকার দরকার। যদি সাহায্যের হাত বাড়াতে চান, নিচে রইল ঠিকানা -

Anushtup Pal
A/C No.- 1138104000092807
IDBI Arambagh
IFSC- IBKL0001138

Google Pay- 8017771702 (Suman Mistri)

More From Author See More