সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি আমাদের বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিল মধ্যযুগের ইউরোপের ব্ল্যাক ডেথ মহামারীর কথা। সারা ইউরোপ প্রায় উজাড় হয়ে গিয়েছিল বুবনিক প্লেগের সংক্রমণে। আর এর মধ্যেই চিনে আবারও লকডাউনের পথে হাঁটল কর্তৃপক্ষ, আর এবারের কারণ সেই বুবনিক প্লেগ। আপাতত সুজি জিংকান গ্রাম সম্পূর্ণ সিল করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত রবিবার সুজি জিংকান গ্রামের এক বাসিন্দা রক্ত-সংবহনতন্ত্র বিকল হয়ে মারা যান। আর মঙ্গলবার সেই মৃত ব্যক্তির রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছিল প্লেগের জীবাণু। কিন্তু কীভাবে তিনি এই সংক্রমণের শিকার হলেন, সেটা এখনও অস্পষ্ট। তবে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে মৃত ব্যক্তির ৯ জন নিকট আত্মীয় এবং আরও ২৬ জন পরিজনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে প্রত্যেক গ্রামবাসীর রক্ত পরীক্ষা করেও সংক্রমণের কোনো চিহ্ন ধরা পড়েনি বলেই জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপের ব্ল্যাক ডেথের পর বুবনিক প্লেগ আর মহামারীর চেহারা নেয়নি। কিন্তু সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়া যে এখনও নির্মূল হয়নি, সেকথা বারবার জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আধিকারিকরা। হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে অন্তত ১০০০ মানুষ বুবনিক প্লেগের শিকার হন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই সংক্রমণ ধরা পড়ে না। তবে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চিনে দুজন মানুষের শরীরে বুবনিক প্লেগের সংক্রমণ ধরা পড়ল। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হল। পরিস্থিতি যাতে মহামারীর দিকে কোনোভাবেই না এগোয়, সেদিকেই নজর রাখছে প্রশাসন।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
নতুন সোয়ান-ফ্লু ভাইরাসের হদিশ দিলেন চিনা বিজ্ঞানীরা, রয়েছে অতিমারী তৈরির ক্ষমতাও