বাংলাদেশের বান্দরবন সদর উপজেলার কথা। সেখানকার ক্রামাদিপাড়ায় বাংলা নয়, পড়ানো হচ্ছে ম্রো-তে। গত পাঁচবছর ধরে একটি স্থানীয় এনজিও-চালিত স্কুলে এই ভাষায় পড়াচ্ছেন ম্রো জনজাতিরই এক ব্যক্তি – মেনপয় ম্রো। আর মাতৃভাষায় শিক্ষা পাওয়ার ফলে সেখানকার ছোটদেরও উপকারও হচ্ছে যথেষ্ট।
প্রায় ৬৫,০০০ জন ম্রো ভাষায় কথা বলেন বাংলাদেশে। অথচ
সেখানকার মূল শিক্ষাব্যবস্থায় রয়েছে বাংলাভাষা। ফলে, অনেক ছাত্রছাত্রী প্রাথমিক স্তরেই স্কুল ছেড়ে দেয় বাংলা না-বোঝার জন্য। তাছাড়া, ছেলেমেয়েরা ম্রো-তে পড়তে এবং ভাষাটি শিখতে ভালোওবাসে।
আর ঠিক এখানেই প্রশংসার দাবি
রাখে মেনপয় ম্রো-র উদ্যোগটি। তিনি পেশায় চাষি এবং পড়াশুনার দিক দিয়েও স্বশিক্ষিত।
তা সত্ত্বেও নিজের মাতৃভাষায় বিভিন্ন বিষয় পড়াচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের। প্রতিটি
কোণঠাসা ভাষাই এভাবে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রাখুক নতুন প্রজন্মের হাত ধরে – ভবিষ্যতের
পৃথিবীর কাছে এটাই কি মানবতার দাবি হতে পারে না?