নরওয়েতে আবিষ্কৃত ভাইকিং-দের ব্যবহৃত জাহাজ, উল্লসিত প্রত্নতাত্ত্বিকরা

মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে একটি জাহাজ। না, সেখানে সমুদ্র ছিল না কোনোদিন। নরওয়ের এক অতি প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র থেকেই আস্ত একটি জাহাজ খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। অবশ্য তাঁদের দাবি, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ প্রাচীন ভাইকিং উপজাতির মানুষরা সমাধির সময় একটি করে জাহাজ মৃতদেহের সঙ্গে মাটিতে কবর দিত। এটাই ছিল সামাজিক ক্ষমতার পরিচয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, বিগত এক শতাব্দীর বেশি সময় এমন কোনো জাহাজের সন্ধান পাননি প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

১৯০৪ সালে শেষ সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বিখ্যাত ওজবার্গের জাহাজ। তার নিচে শায়িত ছিলেন দুজন মহিলা। এরপর থেকে এমন কোনো জাহাজ পাওয়া যায়নি। অবশ্য ভাইকিং উপজাতির ইতিহাসের খুব সামান্য নমুনাই বিশেষজ্ঞরা খুঁজে পেয়েছেন। সেখানে আবারও এক জাহাজের সন্ধান পাওয়া সত্যিই ঐতিহাসিক ঘটনা। যদিও দীর্ঘদিনের অযত্নে তার অবস্থা এখন যথেষ্ট সঙ্গিন। অধিকাংশ কাঠই ছত্রাক নষ্ট করেছে। তারই মধ্যে অতি সাবধানে দুটি কিল সংগ্রহ করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ অসলো’জ মিউজিয়াম অফ কালচারাল হিস্ট্রির প্রত্নতাত্ত্বিকরা।

তবে এই আবিষ্কারের আরও একটি অবাক করা দিকের সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। জাহাজের সঙ্গে যে মরদেহটি শায়িত ছিল, সেটি দেখে তাঁদের বিশ্বাস, এটা মানুষের মৃতদেহ নয়। মানুষের হাড় এত বড়ো হয় না। এই হাড় নিঃসন্দেহে ঘোড়া বা অন্য কোনো গবাদি পশুর হাড়। তবে কি মানুষের মতোই পশুদের কবর দেওয়ার সময়েও জাহাজ দেওয়ার রীতি ছিল? নাকি এটা একধরনের সামাজিক আধিপত্যের দম্ভ? ভাইকিং ইতিহাসের নানা অজানা দিক নিয়ে গবেষণা চলবে। আর সেই গবেষণার দলিল হয়ে থেকে যাবে সাম্প্রতিক এই খননকার্য।

Powered by Froala Editor