আজ যেখানে শুষ্ক সাহারা মরুভূমি, একসময় সেই এলাকাই ছিল সুজলা সুফলা। নানা প্রাচীন প্রস্তরচিত্র থেকে এই ধারণা গবেষকদের আগেই হয়েছিল। তবে নিশ্চিত কোনো প্রমাণ ছিল না। এবার সেই ধাঁধার সমাধানে অকাট্য তথ্য হাজির করলেন ভূতাত্ত্বিকরা। একটি-দুটি নয়, এই মরুভূমির উপর দিয়ে অন্তত পাঁচটি বড়ো নদী বয়ে যেত বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
সাহারা মরুভূমিতে পাওয়া নানা প্রাচীন প্রস্তরচিত্রে দেখা গিয়েছিল গাছের ছায়ায় ঢাকা অঞ্চল। তার মধ্যে জিরাফের মতো প্রাণীর দেখা মেলে। মানুষের সাঁতার কাটার দৃশ্যও দেখা গিয়েছে আগে। তবে এইসব দৃশ্য যে মানুষের কল্পনা শক্তির প্রকাশ নয়, তা প্রমাণ করার কোনো সুযোগ ছিল না। সেই সুযোগ মিলল ভূতাত্ত্বিকদের গবেষণায়। ভূমধ্যসাগরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় খননকার্য চালিয়ে পাওয়া গেল প্রাচীন মোহনার অংশ। পলির উপাদান দেখে বিজ্ঞানীদের স্থির বিশ্বাস, এর উৎপত্তি নদীর গর্ভেই। আর সেই পলির গভীরতা এক এক জায়গায় ৩০ ফুটেরও বেশি গভীর। ফলে নদীগুলি যে রীতিমতো বড়ো ছিল, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।
ঠিক কবে বা কীভাবে সাহারার জলবায়ু বদলে গেল, সেটা অবশ্য নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না গবেষকরা। তবে প্রাথমিক গবেষণায় অনুমান করা যায়, ১৬০০০০ বছর আগে পর্যন্ত এইসব নদীর অস্তিত্ব ছিল। ক্রমশ জলবায়ু শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে আদিম মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণী আস্তানা গুটিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই পরিবর্তন সম্পর্কে বিশদে জানতে আরও গবেষণার প্রয়োজন। আশা করা যায়, সেই কাজেও খুব তাড়াতাড়ি নতুন তথ্য জোগাড় করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
Powered by Froala Editor