ঝড়ে বাসা-হারানো পাখিদের আশ্রয় হয়ে উঠছে কলসি, উদ্যোগ জয়িতা কুণ্ডু ও তাঁর দলবলের

আমফান, শতাব্দীর প্রথম সুপার সাইক্লোন। মূলত দক্ষিণবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূল অঞ্চল তছনছ করে দিয়ে চলে গেছে এই দৈত্য। আর তার থাবায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আমাদের চারপাশ। উপড়ে গেছে বড়ো বড়ো গাছ, তারের জঙ্গল নিয়ে পড়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি। আর এর মধ্যে বাস্তুহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাখিরা। তাদের জন্য তো কোনো ত্রাণ নেই! এবার এই পাখিদের জন্যই বিশেষ উদ্যোগ নিলেন জয়িতা কুণ্ডু। উদ্যোগ নিয়ে গাছের ওপর রেখে দিচ্ছেন ছোটো ছোটো কলসি। যাতে সাময়িকভাবে পাখিরা নিজেদের আশ্রয় খুঁজে নিতে পারে সেখানে। 

এমনিতেই গাছ কাটা নিয়ে নানা সময় অভিযোগ তোলেন পরিবেশবিদরা। ‘নগরোন্নয়নের’ গেরোয় পড়ে শেষ হচ্ছে প্রকৃতি। সেইসঙ্গে বিপদে পড়েছে প্রাণীজগত। পাখিরাও রয়েছে সেখানে। আমফানের ফলে সেই পাখিদেরই বিশাল ক্ষতি হয়েছে। শুধু কলকাতাতেই ভেঙে পড়েছে কয়েক হাজার গাছ। পাখিরা তো মারা গেছেই; সেইসঙ্গে হারিয়ে গেছে তাদের বাসাও। কাজেই, উদ্বাস্তু জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। 

এমনই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছেন জয়িতা কুণ্ডু এবং তাঁর টিম। ইতিমধ্যেই তাঁদের বট গাছের ঝুরি সংরক্ষণের কাজ প্রশংসা পেয়েছে সব স্তরে। সরকারের কাছেও পৌঁছে গেছে এই উদ্যোগ। এবার আমফানে বিধ্বস্ত পাখিদের জন্যও এগিয়ে এলেন তাঁরা। উলুবেড়িয়া, চণ্ডীপুর, বাগনানের কালিকাপুর ও গোপালপুরের বিভিন্ন গাছে ছোটো ছোটো কলসি বেঁধে রেখে এসেছে জয়িতাদেবীর টিম। যাতে অন্তত কিছুটা হলেও পাখিদের বাসার সমস্যা দূর হয়। তবে সবার ভরসা, পাখিরা ঘুরে দাঁড়াবেই। তারা নিজেদের বাসা নিজেরাই তৈরি করে নেবে একদিন। আপাতত সামান্য একটু ক্ষতিপূরণের জন্যই এই বন্দোবস্ত। 

Powered by Froala Editor

Latest News See More