বস্তুকে ঘূর্ণায়মান রেখে বা গতিশীল রেখে, অ্যানিমেশনের মাধ্যমে ছবিকে সহজ করার উপায় অনেকদিন ধরেই চলে আসছে। সাম্প্রতিককালে, কম্পিউটার গ্রাফিক্স উন্নত হওয়ায় অ্যানিমেশন এগিয়ে গেছে কয়েক ধাপ। সিনেমা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়কে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সহজ করে দেখানো সম্ভব হয়েছে। জেমস ও’ ডনঘু যেন সে কাজটাই আরও সহজে দেখালেন। অ্যানিমেশনের মাধ্যমে প্রত্যেকটি গ্রহের ঘূর্ণনকে একটি গ্লোবে তুলে ধরলেন জাপানিজ স্পেস এজেন্সির এই বিজ্ঞানী। এর আগে তিনি নাসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বহুদিন।
গ্রহগুলি তার অক্ষকে কেন্দ্র করে খুব দ্রুত গতিতে ঘুরে চলে। প্রসঙ্গত, জেমস গ্লোবটিতে দেখান বৃহস্পতি গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে ২.৪ গুণ জোরে ঘোরে। আর এসবই তিনি দেখিয়েছেন অ্যানিমেশনের মাধ্যমে।
প্রত্যেকটি গ্রহের অক্ষাংশকে তিনি তুলে এনেছেন এই গবেষণায়। বৃহস্পতির ক্ষেত্রে বড় লাল দাগ, নেপচুনের যে অংশে ডার্ক স্ট্রম ঘটে তা এবং শনির মেঘের মধ্যে ঘটে চলা উচ্চ কন্ট্রাস্টকে তিনি এই গবেষণায় ব্যবহার করেছেন।
জেমসের এই গ্লোবে রয়েছে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলা প্রত্যেকটি গ্রহ। সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ বুধ খুব ধীরে ঘোরে। গ্লোবের দ্বিতীয় অংশে রয়েছে বুধ। তাঁর মতে, গ্রহের ঘূর্ণনকে সহজ করে গড়ে তোলার জন্যই তিনি এমন ভাবনা ভেবেছেন।
মহাকাশ এক আশ্চর্য ক্ষেত্র। ঘুরে চলা নানা গ্রহ-উপগ্রহের ঘূর্ণন বিজ্ঞানীদের কাছে বহুদিন ধরেই গবেষণার বিষয়। জেমসের সহযোগিতায় এই গবেষণা যেন আরও খানিকটা সহজ হল বলা যায়।