একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পরনে লাল পোলকা ডটেড সাদা জামা। চুলের ঝুঁটিতেও সেই নকশারই ছোঁয়া। বেশ লজ্জা পেয়েই দাঁড়িয়ে রয়েছে মেয়েটি। হাতে পাউরুটি, তাতে মাখন লাগানো। মেয়েটি অল্প একটু জিভ বের করে আছে। বোধহয় ঠোঁটে খাবার লেগে আছে।
ওপরের বর্ণনাটি পড়ে এতক্ষণে বুঝেই গেছেন কার কথা হচ্ছে। হ্যাঁ, সেই চিরপরিচিত ‘আমুল গার্ল’। ১৯৬৬ থেকে এখনও যে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আমুল এবং মেয়েটি প্রায় সমার্থক হয়ে গেছে আজ। সিলভেস্টার ডি কুনহা-ইউসতেস ফারনান্ডেজের মস্তিস্কপ্রসূত এই মেয়েটি আজ গোটা ভারতের নয়নের মণি। সবথেকে লম্বা চলা অ্যাড হিসেবে গিনেস বুকেও উঠে গেছে আমুল গার্লের নাম। ইতিমধ্যেই হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেছে সে।
আমুলের প্রতিটি প্রোডাক্টে উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকত তার। খুব সম্প্রতি সময়ই, সেই নিয়মের ব্যাতিক্রম ঘটল। আমুলের প্যাকেটে ঝুঁটি-বাঁধা মেয়েটা উড়ে গিয়ে সেখানে চলে এল একটি গরু। যার মাথার শিং-য়ে সোনার কারুকাজ, গলায় সোনার ঘণ্টি। না, সেখানে কোথাও জায়গা পায়নি সেই ফ্রক-পরা মেয়েটি। আর এটা নিয়েই উঠেছে বিতর্কের ঝড়।
আমাদের সমাজ, আমাদের চারপাশ আস্তে আস্তে কীরকম বদলে যাচ্ছে, তারই নিদর্শন হিসেবে অনেকে তুলে ধরছেন আমুলের এই ঘটনাটি। যেন গো-রাজনীতি একধাক্কায় গিলে নিয়েছে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত বাচ্চা মেয়েটিকে। সত্যিই এখানেও রাজনীতি আছে কিনা, জানা যায়নি। হয়ত এটা সত্যিই একটা সাধারণ ঘটনা। কিন্তু আমাদের দেশ, আমাদের সমাজ, এলাকা— সবকিছুই যে ধীরে ধীরে একটা নির্দিষ্ট খাতে ঢুকে যাচ্ছে, এই ঘটনা সেটারই প্রমাণ নয় কি? আপনারা কী বলেন?
(তথ্যঋণ – ফেসবুক)