শেষ ৬ ঘণ্টায় কমেছে গতিবেগ। সুপার সাইক্লোন আমফান শক্তি হারিয়ে এখন এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনের পর্যায়ে। তবুও যত সময় যাচ্ছে, ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কা। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে, কারণ ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ এখন উত্তর-পূর্বে, অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের দিকে। সেইসঙ্গে মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল বৃষ্টি। দিঘা ও তার আশেপাশের উপকূল অঞ্চলে হাওয়ার গতিবেগ আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরেই সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে আমফান।
আজ সকালে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রবিন্দুর অবস্থান পারাদীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং দিঘা থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর-পূর্ব অভিমুখে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। স্থলভাগের কাছে এসে ঝড়ের শক্তি যথেষ্ট হ্রাস পেলেও এখনও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের বেশি।
সমসাময়িক অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের থেকে আমফানের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলেই মনে করছেন মেটিরিওলজিস্টরা। ফলে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা, উভয় জেলাতেই দেখা যাচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। ইতিমধ্যে উপকূল অঞ্চল থেকে ২ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দিঘা সমুদ্র উপকূলে অ্যাম্বুলেন্স পেট্রোলিং-এর ছবি দেখা গিয়েছে আজ সকালেই। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৪১টি দল পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
ইন্ডিয়ান মেটিরিওলিজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় হাতিয়া এবং দিঘার মধ্যবর্তী কোনো স্থানের উপর আছড়ে পড়বে আমফান। সুন্দরবন অঞ্চলে আঘাত করার সম্ভবনাই বেশি। এর ফলে দুই চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলি জেলাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তবে ওড়িশার জাজপুর, বালাশোরসহ ৬টি জেলাতে বিপদের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ওড়িশা সরকার অবশ্য আশাবাদী, যে এই ঝড় ১৯৯৯-র মতো বিধ্বংসী হবে না। এবারের সতর্কতাও আগের থেকে অনেক মজবুত বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।