সুদৃশ্য মাটির পুতুল, রাজা এবং রানি, বা কেবল হাতি বা গরু। এসবই খেলনা। ছোটবেলায় অনেকেই খেলেছেন এসব পুতুল দিয়ে। তবে এই মাটির পুতুলগুলি আলাদা, কারণ এগুলির মধ্যে ভরা রয়েছে গাছের বীজ। পুতুলগুলি যখন ভেঙে যাবে বা ফেলে দেওয়া হবে, তখন ছড়িয়ে যাবে বীজগুলি, গাছ হয়ে বেড়ে উঠবে ধীরে ধীরে। আর এই পুরো ব্যাপারটির পিছনে রয়েছেন রেনা, পাথরদী, ছোট রাঙ্গা, কেন্দাজোরের মতো পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামগুলির মহিলারা।
এতদিন আমরা কলমের মধ্যে বীজের কথা শুনেছি। এখন মাটির খেলনা পুতুলগুলি পরিবেশ সচেতনতার নতুন দিশা দেখাচ্ছে। গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করেছেন। সেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীরই তৈরি এই পুতুল। শিশুরা খেলতে পছন্দ করে, এমন পুতুলই তৈরি করেন এই মহিলারা। সেগুলি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। তাঁরা ইতিমধ্যেই মাটির তৈরি প্রায় ১০০০টি এই ধরণের খেলনা বিতরণ করেছেন। খেলনাগুলির ভেতরে ভরে থাকা বীজ কীভাবে রোপণ করা যেতে পারে, তাও শিখিয়েছেন শিশুদের। মহিলাদের এই কর্মসূচি শিশু এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছে। অনেকে তাঁদের সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছেন। প্রকৃতির বুকে গাছের সংখ্যা বাড়ানোর এই অভিনব উপায় শুনে কুর্নিশ না জানিয়ে উপায় নেই যে!