করোনার পরিস্থিতি এক লহমায় থমকে দিয়েছে আমাদের। সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর মিছিল। থমকে আছে সমস্ত কাজও। এমনকি, থমকে আছে আমেরিকাও। কাজের ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক মানুষেরই লক্ষ্য যে দেশটি, সেখানেই স্তব্ধ হয়ে আছে সমস্ত কারখানা। এক মাস ধরে শ্মশানের নিস্তব্ধতা সেখানে।
করোনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা রীতিমতো সঙ্গীন। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে লাগামছাড়া। স্বাভাবিকভাবেই, লকডাউন চলছে; কারখানা সব বন্ধ বিগত এক মাস ধরে। সমস্ত দেশ যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে এক প্রকার। ১৯৪৬ সালের পর আবার এরকম পরিস্থিতিতে আমেরিকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গোটা বিশ্বই ভয়ানক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। তার থেকে বাদ যায়নি এই শক্তিধর দেশও। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই আমেরিকায় এমনভাবেই কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কোথাও কোথাও উৎপাদনের হার কমে যায় অনেকটা। এক কথায় গোটা দেশ থমকে গিয়েছিল।
১৯৪৬-এর সেই সময়ের পর আবারও আমেরিকা এমন পরিস্থিতিতে। এবার কোনো বিশ্বযুদ্ধ নয়, করোনার যুদ্ধ। উল্টোদিকে প্রতিপক্ষ নিজে অদৃশ্য। সেই অবস্থায় লড়ছি আমরা সবাই। কিন্তু কারখানা বন্ধ থাকার পরের অবস্থাটা কী হবে, সেটা নিয়েই চিন্তিত সবাই। আমেরিকার মতো বিশ্বের শক্তিমান একটি দেশও এই চিন্তা থেকে রেহাই পায়নি। কারখানা বন্ধ, উৎপাদন বন্ধের এই অবস্থা তাদেরও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।