দুজন একসঙ্গে সুখে সময় কাটাচ্ছিল। একান্ত অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ছিল তাদের। হঠাৎই ঘনিয়ে এল বিপদ। মৃত্যু যেন না জানিয়েই দুজনকে একসঙ্গে গ্রাস করল। জমে কঠিন হয়ে গেল শরীর। এসব অবশ্য কয়েক কোটি বছর আগেকার কথা। আজ এসে সেই অসমাপ্ত কাহিনির সাক্ষী থাকলেন বিজ্ঞানীরা। তবে এতক্ষণ যাদের কথা বলা হল, তারা কেউই ‘মানুষ’ নয়। একজোড়া পতঙ্গ। বলা ভালো, প্রাগৈতিহাসিক পতঙ্গ।
আরও পড়ুন
বিবর্তনের ফলে হামিংবার্ডের মতো ছোটো ডাইনোসর, মাথার খুলি পাওয়া গেল মায়ানমারে
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঞ্চলে গবেষণার সময় পাওয়া গেল একটি পাথরের খণ্ড। ঠিক পাথর নয়, জমে থাকা গালারস। তার ভেতরেই এই জিনিসের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখেন, জমে থাকা অ্যাম্বার বা গালার ভেতর আঁতকে আছে দুটি পতঙ্গ। পরিষ্কার বোঝা যায়, সময়টা ছিল তাদের প্রজননের সময়। কিন্তু সেই কাজেই ব্যাঘাত ঘটায় গাছের আঠালো গালারস। সেখানেই আটকে যায় তারা। স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়, ওই অবস্থাতেই। তারপর বছরের পর বছর একইভাবে থেকে গেছে ওই খণ্ডটি। নষ্টও হয়নি একফোঁটা। ভেতরের প্রাণীদুটিও সেইরকমই আছে। যেন এই কিছুক্ষণ আগে ঘটে গেছে ঘটনাটি।
আরও পড়ুন
পতঙ্গ শ্রেণী থেকে স্তন্যপায়ী, সমাজ চালাতে অনেক প্রাণীই বেছে নিয়েছে ভোটদানের পদ্ধতি
‘সায়েন্টিফিক রিপোর্ট’ জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, এখনও অবধি এই পাথরটির, থুড়ি জমে থাকা গালাখণ্ডটির বয়স মনে করা হচ্ছে ৪ কোটি বছর। কিন্তু গবেষণা এখনও শেষ হয়নি। তবে এমন প্রাগৈতিহাসিক ‘প্রেম কাহিনি’র সাক্ষী কি আগে থেকেছেন ওই বিজ্ঞানীরা? সেটা অবশ্য জানা যায়নি…