মনে হয়েছিল করোনা পরিস্থিতি যেন প্রকৃতিকে খানিকটা সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। লকডাউন পেরিয়ে যেন আবার সবুজে ভরে উঠতে দেখব পৃথিবীকে। কিন্তু বাস্তব যেন তার উল্টো কথাই বলছে। শহরের পরিবেশ ক্রমশ দূষণমুক্ত এবং নির্মল হয়ে উঠছে ঠিকই, কিন্তু অরণ্য অঞ্চল কোনোভাবেই আশার আলো দেখছে না। বরং সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে গত একমাসে আমাজনের অরণ্য থেকে যে পরিমাণ জঙ্গল মুছে গিয়েছে, তার মোট আয়তন দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম শহর সাও-পাওলোর থেকেও বড়ো।
দক্ষিণ আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আইএনইপি তার স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ থেকে জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে ১৬৫৪ বর্গকিলোমিটার অরণ্য সাফ হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এই পরিমাণটা অবাক করলেও রেকর্ড নয়। বরং কিছুমাস আগে এই একমাস সময়ের মধ্যেই প্রায় এর দেড়গুণ অরণ্য হারিয়ে গিয়েছে। পৃথিবীর ফুসফুস নামে পরিচিত বৃহত্তম বৃষ্টি অরণ্য আমাজনের উপর মানুষের অত্যাচারের প্রভাব পড়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। তবে গত বছরের শুরু থেকে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। আর এর জন্য সরকারের নীতিই বিশেষভাবে দায়ী।
জুলাই মাসের রিপোর্টের পাশাপাশি দেখা গিয়েছে গত ১ বছরে আমাজনের ৯২০৫ বর্গকিলোমিটার অরণ্য ধ্বংস হয়েছে। আর এই পরিমাণটা বিগত বছরের চেয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ বেশি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রজাতির জীবের বাস এই আমাজনকে ঘিরে। অরণ্য ধ্বংস হওয়ায় সংকটে বন্যপ্রাণও। এরকম পরিস্থিতিতে সরকারের উন্নয়নপন্থী নীতির রথ কি আদৌ লাগাম টানবে? নাকি পৃথিবী হারিয়ে ফেলবে তার ফুসফুসকেই?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আবারও দাবানলের গ্রাসে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ আমাজন, গত বছরের তুলনায় তীব্রতা ২৮% বেশি