প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় শান্তি পুরস্কার পেলেন অমর্ত্য সেন

করোনার চোখরাঙানি আছেই। কিন্তু তাই বলে বন্ধ হবে বইমেলা? না, তেমনটা মেনে নিতে পারেননি জার্মান বুক ট্রেড সংস্থার আধিকারিকরা। আর তাই অনলাইনেই হয়ে গেল মেলার আয়োজন। আর এবারের ঐতিহাসিক ফ্রাঙ্কফুর্ট বুকফেয়ারের সঙ্গে বেশ বড় করেই জড়িয়ে গেল বাংলার নামও। রবিবার বইমেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শান্তি পুরস্কার। আর সেই পুরস্কারের প্রাপকের নাম অমর্ত্য সেন।

জুন মাসেই শান্তি পুরস্কারের প্রাপক হিসাবে অমর্ত্য সেনের নাম ঘোষণা করেছিল জার্মান বুক ট্রেড। তবে করোনা পরিস্থিতিতে বইমেলার ভাগ্যই তো অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢাকা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত অনলাইনেই বইমেলার আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। আর যেহেতু এই মেলায় মূলত বইয়ের কপিরাইট বিক্রি হয়, তাই সেভাবে অসুবিধাও হয়নি। কিন্তু রবিবার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হল বিখ্যাত পাউল চার্চেই। তবে প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও উপস্থিত থাকতে পারেননি জার্মানির প্রধানমন্ত্রী স্টাইনমার।

অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না অমর্ত্য সেনও। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তিনি। এই ঐতিহাসিক সম্মানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন জার্মান বুক ট্রেড সংস্থাকেও। ১৯৫০ সাল থেকেই বিশ্বশান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ফ্রাঙ্কফুর্ট বুকফেয়ারে। তবে এতদিন প্রাপকদের তালিকায় কোনো ভারতীয়ের নাম ছিল না। তৃতীয় বিশ্বের অর্থনীতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার জন্য অর্থনীতিত নোবেল পুরস্কার পাওয়া অমর্ত্য সেনই সেই তালিকায় প্রথম ভারতীয়। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সবার আগে দরিদ্র দেশগুলির অর্থনীতি এবং অনাহারের সুরাহা হওয়া প্রয়োজন বলেই মত প্রকাশ করেছেন জার্মান বুক ট্রেডের কর্তারাও। আর অমর্ত্য সেনের এই স্বীকৃতি যে বিশ্বের দরবারে বাঙালির সম্মান আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিল, সেকথা বলাই বাহুল্য।

Powered by Froala Editor

Latest News See More