নিট পরীক্ষায় হাজির ৮৫-৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থী; সরকারের সিদ্ধান্তে বাধ্য হয়েই?

করোনা আবহে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষার আয়োজন উচিত কি উচিত নয়, তা নিয়েই দীর্ঘ বিতর্ক ছড়িয়েছিল বিভিন্ন মহলে। মহামারীর কারণে নিট এবং জেইই পরীক্ষার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীদেরও একাংশ। এই দোলাচলের মধ্যেই রবিবার সম্পন্ন হল নিট পরীক্ষা। সকলকে অবাক করে দিয়েই ১৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে উপস্থিত হয়েছিলেন ৮৫-৯০ শতাংশ পরীক্ষার্থীই।

করোনা আবহে নিট পরীক্ষার আয়োজন করাই একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। প্রথমত জেইই পরীক্ষার পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৮ লক্ষ। যার প্রায় দ্বিগুণ ছাত্র-ছাত্রী এই পরীক্ষা দিয়েছে। অন্যদিকে নিট পরীক্ষা সারা ভারতে আয়োজিত হয়েছিল কেবলমাত্র একটি দিনেই। ফলে বিপুল পরিমাণ জনস্রোতের আশঙ্কা ছিলই। তবে পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই প্রত্যেকটি রাজ্য সরকার তৎপরতার সঙ্গেই ব্যবস্থা করেছিল পরিবহন পরিষেবার। কোনো কোনো জায়গায় পরীক্ষার জন্যই বন্ধ হয়েছিল লকডাউনের কর্মসূচি।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল রবিবার সন্ধায় ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন প্রতিটি রাজ্য সরকারকেই। পাশাপাশিই তিনি উল্লেখ করেন ন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সির (এনটিএ) ডিরেক্টর বিনীত জোশির অবদান। সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখেই নিট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল প্রায় ৫০ শতাংশ। পাশাপাশিই একটি পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ থেকে কমিয়ে ১২ করেছিল এনটিএ কর্তৃপক্ষ।

তবে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় ৯০ শতাংশের মতো হলেও থেকেই যাচ্ছে একটি সংশয়ের জায়গাও। জেইই পরীক্ষায় করোনা পরিস্থিতির জন্য সবমিলিয়ে উপস্থিতির হার ছিল মাত্র ৭৪ শতাংশ। পাঁচদিনের পরীক্ষার শুরুর দিনগুলোতে কখনও এই শতকরা হার নেমে এসেছিল ৬২-৬৩ এর কাছেও। তবে সরকারের অনমনীয় মনোভাবের কাছেই কি শেষ অবধি হার মানল সংক্রমণভীতি? বাধ্য হয়েই কি মহামারীর পরিস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাল পরীক্ষার্থীরা? কারণ অনেক প্রতিবাদের পরেও সিদ্ধান্ত থেকে অনড় থেকেছে কেন্দ্র। ফলে এই প্রশ্ন থেকেই যায়। তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, নিট পরীক্ষা সেপ্টেম্বরে না নিলে শূন্য শিক্ষাবর্ষ একদিক থেকে ব্যাপক ক্ষতি করত শিক্ষাব্যবস্থায়। তাই কঠিন পরিস্থিতিতেও এই পরীক্ষার আয়োজন আবশ্যিক ছিল একার্থে...

Powered by Froala Editor

Latest News See More