মাত্র একবছর আগের ঘটনা। আমাজন, অস্ট্রেলিয়া যখন দাবানলে ছাই হচ্ছিল তখনই খবর পাওয়া যায় অযোধ্যা পাহারেও লেগেছে বিধ্বংসী আগুন। প্রশ্ন ওঠে বনবিভাগের ভূমিকা নিয়েও। অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও আগুন লাগল অযোধ্যা পাহাড়ে। গতকাল রাতেই খয়রাবেড়া গ্রামের বাসিন্দারা দেখতে পান পাহাড়চূড়ায় লাল আগুনের রেখা। এত তাড়াতাড়ি আগুন লাগার পিছনে কি সত্যিই প্রাকৃতিক কারণ দায়ী? উঠছে এমন প্রশ্নও।
পুরুলিয়া জেলার স্থানীয় শিক্ষক দুর্গাদাস মাহান্তি বলছেন, “আসলে চোরাকাঠের ব্যবসাই আগুন লাগার জন্য দায়ী। কাঁচা কাঠ তো বিক্রি করা যায় না। তাই আগুন লাগিয়ে সেগুলো শুকিয়ে নেওয়া হয়। প্রতিবার আগুন লাগাছে মানুষের কারণেই।” পুরুলিয়ার জঙ্গলকে ঘিরে কাঠের ব্যবসা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর এর মধ্যে বেশিরভাগ লেনদেনই চলে বে-আইনি ভাবে। “প্রশাসন সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকে”, অভিযোগ করছেন দুর্গাদাসবাবু।
বুধবার দুপুর পর্যন্ত খয়রাবেড়া পাহাড়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এমনকি বনবিভাগের তরফ থেকেও কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। দুর্গাদাস মাহান্তি স্পষ্ট জানালেন, “কলকাতা থেকে ফোন এলে হয়তো তাঁরা জল নিয়ে আগুন লাগাতে আসবেন। স্থানীয় মানুষদের কথা তাঁরা কানেই তোলেন না।” তবে মানুষের সস্তা মুনাফালাভের চেষ্টা থেকে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা যে কোনোদিন আরও ব্যাপক চেহারা নিয়ে নিতে পারে। অরণ্যের ক্ষতি তো ঘটছেই। আর তার প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না মানুষও।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আবারও আগুনের গ্রাসে শুশুনিয়া, নতুন বছরেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পর্যটকদের মধ্যে