বাতাসেই করোনা মারবে এই মেশিন, চমকপ্রদ আবিষ্কার বাঙালি গবেষকের

বাতাসে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসকে আটকানোর উপায় কী? সরকার থেকে অবশ্য এর জন্য জেট স্প্রের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কিন্তু নোবেল করোনার মতো অতি ক্ষুদ্র ভাইরাসকে মারতে সেটা কতটা কার্যকরী, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। এই পরিস্থিতিতে একটা যন্ত্র বানিয়ে ফেললেন দিল্লির দুই স্বাধীন গবেষক। বাতাসে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসকে মারতে পারে এই বিশেষ যন্ত্র। নাম এয়ারলেন্স মাইনাস করোনা।

আরও পড়ুন
দাম মাত্র ২৫০, করোনার টেস্টকিট তৈরি করে বাজিমাত বাঙালির

খড়গপুর আইআইটি-র প্রাক্তনী দেবায়ন সাহা এবং এইমসের প্রাক্তনী শশী রঞ্জন এর আগেও একসঙ্গে নানা কাজ করেছেন। গত বছরের শেষদিকে তাঁরা তৈরি করেছিলেন পিএম মাইনাস ২.৫। মোটরগাড়ির দূষণকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনতে সক্ষম সেই যন্ত্র। আর দেশব্যাপী মহামারীর সময়েও নিয়ে এলেন তাঁদের আরেক আবিষ্কার। খোলা রাস্তায় বা সিনেমা হল, শপিং মলের মতো জায়গায়, যেখানে মানুষের ভিড় হয়, সেখানে বসিয়ে দিতে হবে এই মেশিন। আর মেশিন মেশিন চালু করলেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে অতি সূক্ষ্ম জলকণা। তবে সাধারণ জলকণা নয় সেগুলো। আগে থাকতেই বৈদ্যুতিক শক্তির সাহায্যে জল আয়নায়িত করে রাখা হবে। আর সেই আয়ণায়িত জলকণার সংস্পর্শে এলেই ঝিমিয়ে পড়বে করোনা ভাইরাস।

আরও পড়ুন
প্রসবের আগে পর্যন্ত কাজের মধ্যেই, জমা দিয়েছেন করোনার টেস্টকিট

আপাতভাবে যন্ত্রটির প্রণালী বেশ সহজ। করোনা ভাইরাসের মধ্যে থাকা চার্জকে ডিসচার্জ করবে জলের আয়ন। ফলে তার জারণ ক্ষমতা পুরোপুরি লোপ পাবে। অর্থাৎ করোনার বিশেষত্ব দিয়েই করোনা বধ। কিন্তু এই মহামারীর সময় এমন একটা আবিষ্কারই যে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইতিমধ্যে দেশে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হাজারের উপরে পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও অবশ্য সময় আছে। দেবায়ন আর শশীর এই আবিষ্কার এখনও মানুষকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। শুধু অপেক্ষা সরকারের তরফ থেকে স্বীকৃতির।

Latest News See More